শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: শেয়ারের বেঁধে দেওয়া সর্বনিম্ন দাম বা ফ্লোর প্রাইস প্রথম ধাপে প্রত্যাহারের পর পতনের ধাক্কা সামলে উঠছে পুঁজিবাজার। দ্বিতীয় ধাপে আরও ২৩টির ফ্লোর প্রত্যাহার করা হলেও পরপর দুই দিন হাজার কোটির ঘরে লেনদেনের সঙ্গে সূচকও বাড়ল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই)। তবে তৃতীয় ধাপে বাকি কোম্পানির ফ্লোর তোলার গুজবে সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূচকের বড় দরপতন হয়েছে। তবে সূচকের বড় দরপতন হলেও আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে আজ দুপুর সোয়া ১টার দিকে সূচকের পতন কিছুটা কমতে থাকলে বাজারে গুঞ্জন রটতে থাকে বাকি ১২ কোম্পানিরও ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয়া হচ্ছে। এই সময়ে বাজারে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সূচক তুলে নিবে বেক্সিমকো, গ্রামীণফোন, বিএটিবিসি মতো বড় মূলধনী কোম্পানির শেয়ারের পতনে পুঁজিবাজারে বড় পতন হবে এই আশঙ্কায় শেষবেলায় পতন আরও ঘনীভূত হয়।

গত রোববার ডিএসইর সূচক ৯৬ পয়েন্ট পতনের বিপরীতে সোমবার ও মঙ্গলবার সূচক যেখানে ৩৬ পয়েন্ট যোগ হয়েছিল, আজ একদিনেই সূচক ৪৯ পয়েন্ট উধাও হয়ে গেছে। এতে দেখা যায়, ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের পর ডিএসইর সূচক উধাও হয়ে গেল ১০৯ পয়েন্ট।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, ডিএসইর প্রধান সূচক ‘ডিএসইএক্স’ ৪৯.৬০ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৬ হাজার ২২৬ পয়েন্টে। অন্যদিকে শরীয়াহ সূচক ‘ডিএসইএস’ ১১.২৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৩৭২ পয়েন্টে এবং ডিএস-৩০ সূচক ১৯.০৭ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১৩৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

আজ ডিএসইতে ১ হাজার ১৭৩ কোটি ২১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কর্মদিবসে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ১৭৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। আজ ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৯৬টি কোম্পানির। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৬১টির, কমেছে ৩০৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩০টির।

অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) আজ ১৩ কোটি ৩৫ লাখ ৫৮ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২৯ কোটি ৭০ লাখ ৬১ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিট। আজ সিএসইতে ২৬৮টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে।

এর মধ্যে দর বেড়েছে ৫১টির, কমেছে ২০৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩টি প্রতিষ্ঠানের। আগের দিন সিএসইতে ২৭৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। যার মধ্যে দর বেড়েছিল ১০৬টির, কমেছিল ১০৭টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ১৯টি প্রতিষ্ঠানের।