টেকনিক্যাল অ্যানালিস্ট, শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: ২০২০ সালের ২১ জানুয়ারি ছিল বিমা খাতের জন্য স্বরণীয় দিন। ওইদিন বিমা খাতের সূচক ওঠেছিল ৮২ পয়েন্টের ওপরে। সেই সময়ে বিমার বিনিয়োগকারীরা খাতটির শেয়ারে স্বরণকালের সর্বোচ্চ মুনাফা তুলেছিল। ওই সময়ে কোনো কোনো বিমার শেয়ার ৭-৮ গুণ পর্যন্ত বেড়েছিল। তারপর ২০২০ সালের জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ থেকে বিমার শেয়ারে মুনাফা তোলা শুরু হয়। যার ফলে খাতটি ক্রমাগত পতনের ধারায় থাকে। দেড় বছরের ধারাবাহিক পতনে ২০২২ সালের ৩১ জুলাই খাতটির সূচক ৪২ শতাংশের নিচে নেমে স্থিতি নেয়।

তারপর দীর্ঘদিন সাইড লাইনে থাকে খাতটির সূচক। প্রায় ৬ মাস পর অভিন্ন ট্রেন্ডে অবস্থানের পর ২০২৩ সালে জানুয়ারির মাঝামাঝি নাগাদ বিমার শেয়ারে কিছুটা ঊর্ধ্বগতি দেখা যায়। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে খাতটির সূচক ৪২ পয়েন্ট থেকে ৪৮ পয়েন্টের ওপরে উঠে যায়। তারপর বিনিয়োগকারীদের মুনাফা তোলার চাপে খাতটির সূচক ফের নামতে থাকে। যা দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ৪২ পয়েন্টের কাছাকাছি নেমে যায়।

২০২৩ সালের মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে সাইড লাইনে থাকা বিমা খাতের শেয়ার আবারও চাঙ্গা হতে থাকে। যা দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ৩১ মে তারিখে ৫২ পয়েন্টের কাছাকাছি উঠে যায়। তারপর খাতটির সূচক আবারও সংশোধন হতে থাকে। যা এক মাসের মধ্যে ৪৪ পয়েন্টের নিচে নেমে যায়।

তারপর থেকে সাইড লাইন রেখায় থেকেই ধীরে ধীরে ওপরে উঠে। যা ২০ সেপ্টেম্বর ৫৮ পয়েন্টের ওপরে উঠে যায়। তারপর যথারীতি সংশোধন। এক পর্যায়ে খাতটির সূচক ৪৫ এর কিছু উপরে এসে স্থিতি নেয়। এরপর প্রায় মিশ্র প্রবণতায় লেনদেন করে কিছুদিন যাবত ৪৮ এর ঘরে এসে সাইড লাইনে অবস্থান নিয়েছে।

বাজার সংশ্লিষ্টরা ও টেকনিক্যাল অ্যানালিস্টরা বলছেন, বিমা খাত সামনে যাওয়ার এখন পূর্ণ প্রস্তুতিতে রয়েছে। যেকোন সময়ে খাতটি লং র‌্যালী করতে পারে। সংশ্লিষ্টরা খাতটির কিছু কিছু শেয়ার নিয়ে আশাবাদী নানা কথাবার্তাও বলতে শুরু করেছেন।