শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ দুই ডজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মুলত জালিয়াতির মাধ্যমে ঋণ ও সঞ্চয়ী আমানতের ৩১১ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। গত রোববার সংস্থাটির ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. হাফিজুল ইসলাম মামলাটি দায়ের করেন। দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো. আকতারুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার আসামিরা হলেন: সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন হতে নিবন্ধিত অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি ইউনিভার্সাল ফাইন্যান্সিয়াল সলিউশন লিমিটেডের চেয়ারম্যান সৈয়দ আলমগীর ফারুখ চৌধুরী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ হামজা আলমগীর ও পরিচালক (ইউএফএস), ইশরাত আলমগীর, আলিয়া হক আলমগীর, সৈয়দা শেহরীন হোসেন, সৈয়দা মেহরীন রহমান, মাহিদ হক,

মোহাম্মদ জাকির হোসেন, মো. তারিক মাসুদ খান, মোহাম্মদ মাসুম চৌধুরী ও মোসাম্মত উম্মে ইসলাম সোহানা। একই প্রতিষ্ঠানের চিফ ইনভেস্টমেন্ট অফিসার মো. মমিনুল হক, ব্যবস্থাপক মো. সাকিব আল ফারুক ও হেড অব ফান্ড অপারেশন মো. হাফিজুর রহমান রাজিব।

অন্যদিকে ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) আসামিরা হলেন-আইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মোসাদ্দেকুল আলম, সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. তালেব হোসেন, উপমহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ শাহজাহান ও সাবেক সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. মাহবুব আলম।

এ ছাড়া অডিট ফার্ম আহমেদ জাকির অ্যান্ড কোং এর কর্মকর্তা মুহাম্মদ জাবেদ আলী মৃধা, রহমান মোস্তফা আলম অ্যান্ড কোং এর কর্মকর্তা মোহাম্মদ মফিজুল হক রিংকু, আর আই এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. ফখরুল আলম, ভ্যানগার্ড ট্রেডার্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান তাসলিমা রহমান, মাল্টিম্যাক্স ইন্টারন্যাশনালের এমডি শারিক আহমেদ এবং তানজিন ফ্যাশনস লিমিটেডের এমডি এ আই এম মাহাবুবুল মুজিবকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে জাল জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম বিনিয়োগ দেখিয়ে ঋণ পরিশোধ না করে ৫৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা, মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ দেখিয়ে ১৪৮ কোটি, শেয়ার বিক্রির ৬৩ কোটি ৮৭ লাখ টাকা, মিউচুয়াল ফান্ডের ফি বাবদ ৭ কোটি ৮৯ লাখ ৯৫ হাজার টাকাসহ ৩১১ কোটি ৪৪ লাখ ৮৭ হাজার ৩১৪ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

তাদের বিরুদ্ধে ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধির ধারা ৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/ ৪০৯/১০৯ এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং ২০১২ সালের মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৪(২), ৪(৩) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।