শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: অন্যায়ভাবে পুঁজিবাজারে পিপলস লিজিংয়ের লেনদেন বন্ধ রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান হাসান শাহেদ ফেরদৌস। তিনি বলেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো অতিমাত্রায় চাপাচাপি করছে, যা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ভালো ফল আনছে না। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি যে অবস্থায় রয়েছে, তাতে শেয়ার মার্কেটে লেনদেন শুরু হলে স্বল্প সময়ের ব্যবধানে ২০ থেকে ২৫ টাকায় উঠবে।

গত বৃহস্পতিবার পিপলস লিজিংয়ের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে হাসান শাহেদ ফেরদৌস এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমরা খুবই দুরবস্থায় ছিলাম, এখন ঘুরে দাঁড়িয়েছি। ২০২১ সালে আদালতের নির্দেশে আমাকে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এর পর থেকে প্রতিষ্ঠানটিকে পুনর্গঠন করতে মনোযোগী হয়েছি।

ইতিমধ্যে লাভের মুখ দেখতে শুরু করেছে পিপলস লিজিং। ১৫০ কোটি টাকা নিয়ে আমি দায়িত্ব শুরু করি। বর্তমানে ভালো অবস্থান হয়েছে। আমাদের ৩০ কোটি টাকা এফডিআর আছে। বর্তমানে আমাদের মাসিক গড় ইনফ্লো (আদায়) ৩ কোটি টাকা। কখনো ১০ কোটি টাকা পর্যন্ত ওঠে।’

হাসান শাহেদ ফেরদৌস বলেন, ‘পৃথিবীর কোনো দেশেই কোম্পানি বন্ধ থাকা অবস্থায় কোনো সুদ দেয় না। দীর্ঘদিন থেকে আমাদের কোম্পানি বন্ধ ছিল। তাই বন্ধ থাকা অবস্থায় সুদ হিসাব গ্রহণযোগ্য হবে না। পিপলস লিজিংয়ের দায় সব মিলিয়ে প্রায় ১ হাজার ২৫০ কোটি টাকা। এর মধ্যে প্রকৃত আমানত ৭০০ কোটি। বাকি টাকা আমরা দেব না।

কারণ, ওই সময় আমাদের কোম্পানি বন্ধ ছিল। ইতিমধ্যে আমরা হাউস লোন এবং কার লোন দিতে শুরু করেছি। চার-পাঁচ মাস ধরে আমরা নিয়মিতভাবে ঋণ দিয়ে যাচ্ছি। আমাদের পরিকল্পনা আছে ৫০ কোটির মতো ফিক্সড ডিপোজিট করব। এর বিপরীতে ব্যাংক থেকে ৫০০ কোটি টাকা ঋণ নেব। যার সুদ হবে সাড়ে ৩ থেকে ৫ শতাংশ। এই টাকা ৮ থেকে ১২ শতাংশ সুদে বিনিয়োগ করে কোম্পানি লাভ করবে।’