শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: ডলারসহ নানা ইস্যুতে নীরবে তলিয়ে যাচ্ছে পুঁজিবাজার। বড় বড় ইস্যুর ডামাডোলে সরকার, নীতিনির্ধারক আর গণমাধ্যমের মনোযোগের বাইরে থাকা ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের কষ্টের টাকা নিরাপদ বিনিয়োগের জায়গাটি এখন চরম অনিরাপদ। নিয়ন্ত্রক সংস্থার নির্দেশনার জোরাজুরিতে মাঝেসাজে বাজারটিকে টেনে ওপরে তোলার চেষ্টা হলেও তা টেকসই হয়নি। এক দিন বাজারে সূচকের উত্থান হলে এর পরে টানা কয়েক দিন চলতে থাকে পতন।

এদিকে সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতে সূচকের বড় উত্থান হলেও দিনশেষে সূচকের দরপতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। মুলত আজ ডিএসইতে দরপতনে নেপথ্যে ছিল শীর্ষ চার কোম্পানি। লেনদেনের শুরুতে উত্থান থাকলেও দিনশেষে কোহিনুর কেমিক্যাল, এমারেন্ড ওয়েল, ফু-ওয়াং সিরামিক ও ফু-ওয়াং ফুড লিমিটেডের শেয়ার বিক্রির চাপে সূচকের দরপতন হয়েছে।

তবে আজ অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমার পাশাপাশি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্যসূচক কমেছে। তবে লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, আজ লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টা অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার প্রবণতা অব্যাহত থাকে। এতে বিনিয়োগকারীরা দিন শেষে বড় উত্থানের স্বপ্ন দেখতে থাকেন। কিন্তু শেষ দেড় ঘণ্টার লেনদেনে হঠাৎ করেই এক শ্রেণির বিনিয়োগকারী শেয়ার বিক্রির চাপ বাড়িয়ে দেন। এতে একের পর এক প্রতিষ্ঠান দাম বাড়ার তালিকা থেকে দাম কমার তালিকায় চলে আসে। ফলে মূল্যসূচকও ঋণাত্মক হয়ে পড়ে।

লেনদেনের শেষ আধাঘণ্টায় বিক্রির চাপ আরও বেড়ে যায়। ফলে একদিকে দাম কমার তালিকা বড় হয়, অন্যদিকে সবকটি মূল্যসূচক কমে। ফরে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলে ৫৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৯৩টির। আর ১৮১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

ডিএসইর সূত্র মতে, ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৪ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ২২৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় ১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৫১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১০৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

সবকটি মূল্যসূচক কমলেও ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৫৪৯ কোটি ১০ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৩৭০ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ১৭৮ কোটি ৭৩ লাখ টাকা।

অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ৯ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৬১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩৬টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৪৪টির এবং ৮১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৮ কোটি ১০ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ১১ কোটি ৮০ লাখ টাকা।