শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ভিন্ন ভিন্ন খাতের চার কোম্পানি সমাপ্ত অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিব প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তবে কোম্পানি চারটি মধ্যে ইউনিয়ন ক্যাপিটাল মুনাফা থেকে লোকসানে গেছে। কোম্পানি চারটি হলো: শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড, প্রিমিয়ার ব্যাংক এবং ইউনিয়ন ক্যাপিটাল লিমিটেড। কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে।

শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক: শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে ব্যাংকটির সমন্বিত শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৮৬ পয়সা। গত বছর একই সময়ে ব্যাংকটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছিল ৯২ পয়সা। হিসাববছরের প্রথম তিন প্রান্তিক মিলিয়ে তথা ৯ মাসে (জানুয়ারি’২৩-সেপ্টেম্বর’২৩) ব্যাংকটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ৩ টাকা ৩১ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে তা ৩ টাকা ২৩ পয়সা ছিল। গত ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২২ তারিখে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ২১ টাকা ৬২ পয়সা।

প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড: প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে ব্যাংকটির সমন্বিত শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ১২ পয়সা। গত বছর একই সময়ে ব্যাংকটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছিল ৮৮ পয়সা। হিসাববছরের প্রথম তিন প্রান্তিক মিলিয়ে তথা ৯ মাসে (জানুয়ারি’২৩-সেপ্টেম্বর’২৩) ব্যাংকটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ৩ টাকা ৫ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে তা ২ টাকা ৪৭ পয়সা ছিল। গত ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২২ তারিখে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ২৯ টাকা ৭৫ পয়সা।

প্রিমিয়ার ব্যাংক: প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে ব্যাংকটির সমন্বিত শেয়ার প্রতি আয় (ঈড়হংড়ষরফধঃবফ ঊচঝ) হয়েছে ১ টাকা ১ পয়সা। গত বছর একই সময়ে ব্যাংকটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছিল ৯৩ পয়সা। হিসাববছরের প্রথম তিন প্রান্তিক মিলিয়ে তথা ৯ মাসে (জানুয়ারি’২৩-সেপ্টেম্বর’২৩) ব্যাংকটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৫৩ টাকা পয়সা। গত বছরের একই সময়ে তা ২ টাকা ৩৬ পয়সা ছিল। গত ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২২ তারিখে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ২১ টাকা ৩৯ পয়সা।

ইউনিয়ন ক্যাপিটাল: ইউনিয়ন ক্যাপিটাল লিমিটেড তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি কনসুলেটেড লোকসান (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৪২ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৮২ পয়সা। সে হিসেবে ১ জুলাই থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর তিন মাসে লোকসান হয়েছে ২৪ কোটি ৫০ লাখ ৫৪ হাজার ৮৫৭ টাকা। যা ২০২২ সালের একই সময়ে ছিল ১৬ কোটি ২২ লাখ ১৯ হাজার ৪১২ টাকা।

অর্থাৎ ৮ কোটি টাকার বেশি লোকসান বেড়েছে ইউনিয়ন ক্যাপিটালের। তবে চলতি হিসাববছরের তিন প্রান্তিকে (জানুয়ারি’২৩-সেপ্টম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি কনসুলেটেড ৭ টাকা ৩৯ পয়সা লোকসান হয়েছে। আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি ৫ টাকা ৪৬ পয়সা লোকসান হয়েছিল। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি কনসুলেটড সম্পদ মূল্য হয়েছে মাইনাস ২৩ টাকা ২৫ পয়সা।

২০০৭ সালে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির বর্তমান শেয়ার সংখ্যা ১৭ কোটি ২৫ লাখ ৭৩ হাজার ৮৪৩টি। এই শেয়ারধারীদের সর্বশেষ ২০১৮ সালে ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দিয়েছিল ইউনিয়ন ক্যাপিটাল। তারপর থেকে লোকসান দেখিয়ে যাচ্ছে তারা, টানা চার বছর কোনো লভ্যাংশ দেয়নি।

লোকসান বাড়ায় কোম্পানিটিকে চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে ১৩ কোটি ৭২ লাখ টাকা প্রভিশনিং করতে হয়েছে। যা ২০২২ সালের একই সময়ে ছিল ৫ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রথম তিন প্রান্তিকে কোম্পানির ১২৭কোটি ৫২ লাখ টাকা লোকসান হয়েছে, যা ২০২২ সালে ছিল ৯৪ কোটি ২৫ লাখ টাকা। তাতে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি লোকসান দাঁড়িয়েছে ৭ টাকা ৩৯ পয়সা, যা ২০২২ সালের একই সময়ে ছিল ৫ টাকা ৪৬ পয়সা।