শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ১৪ কোম্পানির কারখানা পরিদর্শনের অনুমোদন পেয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)’র কাছে ৪২টি কোম্পানির কার্যক্রম ও কারখানা সরেজমিনে পরিদর্শনের জন্য অনুমতি চেয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। এর ফলে প্রাথমিক ভাবে ১৪টি কোম্পানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

যে ১৪টি কোম্পানি পরিদর্শনের অনুমোদন ডিএসইকে দেওয়া হয়েছে সেগুলো হলো: ফরচুন সুজ, ন্যাশনাল ফিড মিলস, সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস, সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল রিফাইনারি, দুলামিয়া কটন স্পিনিং মিলস, ফ্যামিলিটেক্স, কেয়া কসমেটিকস, খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ, নর্দান জুট ম্যানুফ্যাকচারিং, রিজেন্ট টেক্সটাইল মিলস, ঢাকা ডায়িং অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি, উসমানিয়া গ্লাস শিট, জাহিন স্পিনিং ও জাহিনটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ।

তবে অভিযোগ রয়েছে, কয়েকটি কোম্পানি পুঁজিবাজারের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের কাছে থেকে অর্থ উত্তোলন করলেও তাদের ডিভিডেন্ড থেকে বঞ্চিত করছে। এছাড়া কোনো কোনো কোম্পানি আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ না করে এবং বার্ষিক সাধারণ সভা না করে শেয়ারহোল্ডারদের অন্ধকারে রেখেছে।

ডিএসই চলতি বছরের শুরুর দিকে বিএসইসিতে চিঠি দিয়ে ৪২টি নন-পারফর্মিং তালিকাভুক্ত কোম্পানি পরিদর্শনের অনুমতি চেয়েছিল। তবে জুলাই মাসে বিএসইসি ১৪টি কোম্পানিকে পরিদর্শন করতে ডিএসইকে অনুমতি দিয়েছে। বাকি ২৮টি কোম্পানিকে পর্যায়ক্রমে ডিএসইকে পরিদর্শনের অনুমতি দেয়া হবে বলে বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে। ডিএসই কোম্পানিগুলো পরিদর্শন শেষে প্রতিবেদন বিএসইসিতে জমা দেবে। এরপর ডিএসইর পরিদর্শন প্রতিবেদনের ভিত্তিতে কমিশন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

ডিএসই জানিয়েছে, এই ১৪টি কোম্পানি পরিদর্শনের জন্য ডিএসই বেশ কয়েকটি দল গঠন করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত সপ্তাহে একটি দলকে নর্দার্ণ জুট ম্যানুফ্যাকচারিং পরিদর্শনের জন্য পাঠানো হয়েছিল। নর্দার্ণ জুটের কারখানার প্রাঙ্গণ বন্ধ থাকার কারণে ভিতরে প্রবেশ করতে পারেনি ডিএসইর তদন্ত দলটি। এছাড়াও নর্দার্ণ জুটের প্রধান কার্যালয় তদন্ত করতে গিয়েছিল ডিএসই। কিন্তু কোম্পানিটির প্রধান কার্যালয় ওএমসি লিমিটেড নামে একটি কোম্পানি ব্যবহার করছে বলে ডিএসই জানিয়েছে।

ডিএসইর এক কর্মকর্তা বলেছেন, কিছু তালিকাভুক্ত কোম্পানির মালিকরা তাদের কার্যক্রম এবং ব্যবসার প্রকৃত অবস্থা গোপন করেছেন। এর ফলে কোম্পানিগুলো সম্পর্কে গুজবের জন্ম দিয়েছে। যা শেষ পর্যন্ত শেয়ারের দামের হেরফেরের দিকে পরিচালিত করে। ফলে কয়েকটি কোম্পানি উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছিল এবং বছরের পর বছর ধরে কোনও ডিভিডেন্ড দেয়নি, তাদের স্টকের দাম ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই কারণেই বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে, ডিএসই কোম্পানিগুলোর প্রকৃত অবস্থা জানতে যাচাই-বাছাই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।