শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজার স্থিতিশীল রাখতে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলো বন্ড, ডিবেঞ্চার ও ইসলামিক শরীয়াহভিত্তিক সুকুকে যত খুশি তত বিনিয়োগ করতে পারবে। এসব বিনিয়োগ ব্যাংকের এক্সপোজার লিমিট (পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগসীমা) গণনা করা হবে না। এতোদিন এসব বিনিয়োগ এক্সপোজার লিমিটে যুক্ত ছিল।

ফলে এ ছাড়ের কারণে এখন পুঁজিবাজারে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ বাড়ানোর সুযোগ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফ-সাইট সুপারভিশন এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা দেশের সব ব্যাংকে পাঠিয়েছে।

এতে বলা হয়, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ সংক্রান্ত আগের নির্দেশনায় সকল প্রকার শেয়ার, ডিবেঞ্চার, কর্পোরেট বন্ড, মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিট এবং পুঁজিবাজারের অন্যান্য পণ্যে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ এক্সপোজার লিমিটের মধ্যে ছিল।

এতে আরও বলা হয়, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের বিবরণী ছক সংশোধন করা হয়েছে। একক এবং একীভূত উভয় ভিত্তিতে সংশোধিত ছক অনুসরণ করে আগের মতো যথানিয়মে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিবরণী দাখিল করতে হবে।

নীতিমালায় বলা হয়েছে, ব্যাংক-কোম্পানী আইন, ১৯৯১ এর অধিকতর সংশোধনকল্পে প্রণীত ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০২৩ (২০২৩ সনের ১৩ নং আইন) এবং বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩ তারিখে জারিকৃত ডিওএস সার্কুলার নং-০২ ও ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে জারিকৃত ডিওএস সার্কুলার লেটার নং-০৭ এর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা যাচ্ছে।

ডিওএস সার্কুলার নং ০২/২০১৩ এবং ডিওএস সার্কুলার লেটার নং ০৭/২০১৪ এর মাধ্যমে ব্যাংক-কোম্পানী কর্তৃক যথাক্রমে এককভাবে এবং সমন্বিত ভিত্তিতে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সংক্রান্ত নির্দেশনায় সকল প্রকার শেয়ার, ডিবেঞ্চার, কর্পোরেট বন্ড, মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিট এবং অন্যান্য শেয়ারবাজার নিদর্শনপত্র ব্যাংক-কোম্পানীর শেয়ারবাজার বিনিয়োগ কোষের অন্তর্ভুক্ত ছিল।

এক্ষণে, ব্যাংক-কোম্পানী আইন, ১৯৯১ এর ২৬ক ধারায় ২০২৩ সালে আনীত সংশোধনী অনুসারে ব্যাংক কোম্পানী কর্তৃক শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বন্ড, ডিবেঞ্চার ও ইসলামিক শরীয়াহ ভিত্তিক নিদর্শনপত্র নির্ধারিত বিনিয়োগসীমা এর জন্য নির্দিষ্টকৃত বিনিয়োগ কোষের অন্তর্ভুক্ত হবে না।

এ লক্ষ্যে ডিওএস সার্কুলার নং-০৩/২০১৫ এর সাথে প্রদত্ত শেয়ারবাজার বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিবরণীর ছকসমূহ সংশোধন করা হয়েছে। এককভাবে এবং সমন্বিতভাবে উভয় ভিত্তিতে সংশোধিত ছক অনুসরণপূর্বক পূর্বের ন্যায় যথানিয়মে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিবরণী (টিআইসিএম) দাখিল করতে হবে।