শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম: সপ্তাহজুড়ে দেশের প্রধান ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) টানা ৫ সপ্তাহ যাবত শীর্ষ লেনদেনের তালিকায় শীর্ষ স্থানে অবস্থান করছে দুর্বল মৌল ভিত্তি শেয়ার ফু-ওয়াং ফুড লিমিটেড। বড় বিনিয়োগকারীরা কোম্পানিটির শেয়ার অনেক বাড়িয়ে এখন কেনা-বেচা করে মুনাফা তুলছে। যে কারণে প্রতিদিনই শেয়ারটি নিটিং করছে তারা। যে কারণে কোম্পানিটির শেয়ারে প্রতিদিনই বড় লেনদেন হচ্ছে এমনটাই মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।

তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, এক মাস আগে ফু-ওয়াং ফুডের শেয়ার ফ্লোর প্রাইস ২৩ টাকা ৫০ পয়সা ভেদ করে ওপরে উঠে। গত ১৬ জুলাই কোম্পানিটির শেয়ার ৪৬ টাকা ৯০ পয়সায় উঠে। যা কয়েক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ রেকর্ড দর। এতে এক মাসের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ার দর বাড়ে ৯৯.৫৭ শতাংশ। সেদিন শেয়ারটির ক্লোজিং দর হয় ৪৩ টাকা ৫০ পয়সায়। ওইদিন থেকেই বড় বিনিয়োগকারীরা শেয়ারটি থেকে মুনাফা তুলতে থাকে। ফলে প্রতিদিনই শেয়ারটির দর নেতিবাচক প্রবণতায় থাকে।

গত তিন সপ্তাহ যাবত বড় বিনিয়োগকারীদের মুনাফা তোলার কারণে কোম্পানিটির শেয়ারে টানা পতন দেখা যায়। এরই ধারাবাহিকতায় বিদায়ী সপ্তাহেও শেয়ারটির দর ৩৭ টাকা ৫০ পয়সা থেকে সর্বশেষ ৩৪ টাকা ৪০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে। দর কমেছে ৩ টাকা ১০ পয়সা বা ৮.২০ শতাংশ।

ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, বিদীয় সপ্তাহে ফু-ওয়াং ফুডের ৩ কোটি ৮৫ লাখ ৭৫ হাজার ২৯৫টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার বাজার মূল্য ১৪০ কোটি ৯৮ লাখ ৬০ হাজার টাকা। যা ছিল ডিএসইর মোট লেনদেনের ৪.৭৬ শতাংশ। আগের সপ্তাহে কোম্পানিটির ৫ কোটি ৪৩ লাখ ৩ হাজার ৭৯৯টি শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। যার বাজার মূল্য ছিল ১৬২ কোটি ৮২ লাখ টাকা। যা ছিল ডিএসইর মোট লেনদেনের ৫ শতাংশ।

ডিএসই সূত্র বলছে, ২০২১ ও ২০২২ সালে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের কোনো ডিভিডেন্ড দেয়নি। তবে শেয়ার দর উল্লম্ফনের আগে আগে কোম্পানিটি ২০২৩ সালের জন্য ০.৫০ শতাংশ অন্তবর্তী ডিভিডেন্ড ঘোষণা দেয়।

সদ্য সমাপ্ত ২০২৩ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি আয় দেখিয়েছে ১৭ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ১১ পয়সা। ৩১ মার্চ, ২০২৩ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য হয়েছে ৩ টাকা ৯৬ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে সম্পদ মূল্য ছিল ১১ টাকা ৭০ পয়সা। সর্বশেষ শেয়ার দর অনুযায়ি, ফু-ওয়াং ফুডের শেয়ারের মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) দাঁড়িয়েছে ১৫১.৭৬ পয়েন্ট।