শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই ফের দরপতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। মুলত তিন কার্যদিবস পর ফের দরপতনে পুঁজিবাজার। এর মুলে রয়েছে আস্থা সংকট। বর্তমান পুঁজিবাজারে আস্থা সংকট প্রকট আকার ধারন করায় ঘুড়ে ধারাতে পারছে না পুঁজিবাজার। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ডিএসইতে সূচক কমেছে ৪ পয়েন্ট। অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক কমেছে ১ পয়েন্ট। সূচকের পাশাপাশি কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাজারে মূল্য সংশোধন হয়েছে। গত তিনদিন বেশ কিছু কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। দাম বৃদ্ধি হওয়া কোম্পানির শেয়ার আজ বিক্রি করে মুনাফা তুলেছেন বিনিয়োগকারীরা। ফলে দরপতন হয়েছে। এটাই পুঁজিবাজারে স্বাভাবিক নিয়ম, এতে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই।

ডিএসইর তথ্য মতে, সোমবার সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত লেনদেন হয়। এরপর শেয়ার কেনার চেয়ে বিক্রির চাপ বাড়তে থাকে। পরে বিক্রির চাপ বাড়ায় কমতে থাকে সূচক, যা অব্যাহত ছিল দিনের লেনদেনের শেষ সময় পর্যন্ত। ফলে দিন শেষে ডিএসইতে মোট ৮ কোটি ২৬ লাখ ৪৫ হাজার ১০৮টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের কেনা-বেচা হয়েছে। এতে লেনদেন হয়েছে ৫৭৫ কোটি ৮০ লাখ ২ হাজার টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৫৩১ কোটি ৮৩ লাখ ৮৭ হাজার টাকা। অর্থাৎ আগের দিনের চেয়ে লেনদেন কিছুটা বেড়েছে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, সোমবার ডিএসইতে ৫৭৫ কোটি ৮০ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবস রবিবার ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৫৩১ কোটি ৮৩ লাখ টাকার শেয়ার। এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪ দশমিক ৩৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২১৩ দশমিক ৪৫ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক ২ দশমিক শূন্য ২ পয়েন্ট এবং ডিএসইএস সূচক ৪ দশমিক ১২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ২ হাজার ২০৭ দশমিক ৭৫ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ৩৪৮ দশমিক ৭৭ পয়েন্টে।

এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৩০টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ৫৪টি এবং কমেছে ৬৯টির। শেয়ার পরিবর্তন হয়নি ২০৭টির। এদিন ডিএসইতে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের শেয়ার কেনাবেচায় কদর সবচেয়ে বেশি ছিল। ফলে লেনদেন শীর্ষে কোম্পানিটির শেয়ার স্থান পায়। এদিন বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন ৪২ কোটি ৯০ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়।

অপরদিকে, অপর পুঁজিবাজার চট্রগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সোমবার লেনদেন হয়েছে ১১ কোটি ৮৪ লাখ টাকা শেয়ার। আগের কার্যদিবস রবিবার ৭ কোটি ৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৩৪টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ৩৮টি, কমেছে ৩৫টি এবং পরিবর্তন হয়নি ৬১টির।

এদিন সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ১ দশমিক ৩৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৩১৬ দশমিক ৯২ পয়েন্টে। সিএসই-৫০ সূচক দশমিক ৫৭ পয়েন্ট, সিএসসিএক্স দশমিক ৮৪ পয়েন্ট এবং সিএসআই ২ দশমিক শূন্য ৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ৩১৩ দশমিক ৭২ পয়েন্টে, ১০ হাজার ৯৮০ দশমিক ২১ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ১৪৯ দশমিক ৩৪ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসই-৩০ সূচক ৮ দশমিক ৫৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৩৬৩ দশমিক ৩৫ পয়েন্টে।