শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের দরপতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন কমেছে লেনদেন পরিমাণও। কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর উত্থানের চেয়ে পতন প্রায় পাঁচগুন বেশি হয়েছে। সূচক পতন একই অবস্থা অপর পুঁজিবাজার চট্রগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)। কমেছে লেনদেন পরিমাণও। কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর উত্থানের চেয়ে পতন দ্বিগুন বেশি হয়েছে।

ডিএসই সূত্র মতে, বুধবার ডিএসইতে ৩২৮ কোটি ৪৮ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবস মঙ্গলবার ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৩৪৯ কোটি ৬১ লাখ টাকার শেয়ার। এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৬ দশমিক ২৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২০৬ দশমিক ৬৩ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক ৫ দশমিক ১৮ পয়েন্ট এবং ডিএসইএস সূচক ৩ দশমিক ৩৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ২ হাজার ২১৫ দশমিক ৪৩ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ৩৫২ দশমিক ৪৯ পয়েন্টে।

এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩১২টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ১৭টি এবং কমেছে ৮২টির। শেয়ার পরিবর্তন হয়নি ২১৩টির। এদিন ডিএসইতে ইস্টার্ন হাউজিংয়ের শেয়ার কেনাবেচায় কদর সবচেয়ে বেশি ছিল। ফলে লেনদেন শীর্ষে কোম্পানিটির শেয়ার স্থান পায়। এদিন ইস্টার্ন হাউজিং ১৯ কোটি ১৪ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়।

অপরদিকে, অপর পুঁজিবাজার চট্রগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বুধবার লেনদেন হয়েছে ৭ কোটি ৯৭ লাখ টাকা শেয়ার। আগের কার্যদিবস মঙ্গলবার ১২ কোটি ২৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১২৪টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ১৮টি, কমেছে ৪৩টি এবং পরিবর্তন হয়নি ৬৩টির।

এদিন সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ৩২ দশমিক ৭১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৩৪৯ দশমিক ৭১ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসই-৫০ সূচক ১ দশমিক ৪৮ পয়েন্ট, সিএসই-৩০ সূচক ২৪ দশমিক ৫০ পয়েন্ট, সিএসসিএক্স ২০ দশমিক ২১ পয়েন্ট এবং সিএসআই ২ দশমিক ৮৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ৩২২ দশমিক ৮৮ পয়েন্টে, ১৩ হাজার ৩৫২ দশমিক ৪৪ পয়েন্টে, ১১ হাজার পয়েন্টে এবং ১ হাজার ১৫৬ দশমিক ৭২ পয়েন্টে।