শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিচ হ্যাচারির ভবন ও হ্যাচারি ইক্যুপমেন্ট ভেঙ্গে ফেলার পরে ৬ বছর আগে উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। এরমধ্যে আবার নানা সমস্যায় জড়িয়ে পড়েছে কোম্পানিটি। এমন পরিস্থিতিতে পুঁজি হারানোর সঙ্কায় বিনিয়োগকারীরা। কোম্পানিটির ২০২১-২২ অর্থবছরের নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, কক্সবাজারে মেরিন ড্রাইভ রোড নির্মাণের জন্য সরকার বিচ হ্যাচারির ভবন ও হ্যাচারি ইক্যুপমেন্ট ভেঙ্গে ফেলেছে।

এছাড়া হ্যাচারি প্লান্ট গঠনের জন্য থাকা কিছু জমিও অধিগ্রহন করেছে। যাতে করে ২০১৬ সালের ২৪ জানুয়ারি থেকে কোম্পানির পুরো বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। বন্ধ থাকা এ কোম্পানি কর্তৃপক্ষ ৬ বছর ধরে গ্রাহকের কাছে ২৬ কোটি ৯৯ লাখ টাকা পাওনা দেখিয়ে আসছে।

যে অর্থ আদায় নিয়ে এরইমধ্যে শঙ্কা তৈরী হয়েছে। এই অবস্থায় ওই পাওনার বিপরীতে সঞ্চিত (প্রভিশনিং) গঠন বাধ্যতামূলক হলেও কোম্পানি কর্তৃপক্ষ তা করেনি। এতে করে নিট লোকসানের পরিমাণ কম ও মোট সম্পদের পরিমাণ বেশি করে দেখানো হয়েছে।

কোম্পানির কাছে ২০১২-১৩ অর্থবছর পর্যন্ত ১ কোটি ৯৩ লাখ টাকা দাবি করে চিঠি দিয়েছে আয়কর কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কোম্পানি কর্তৃপক্ষ ওই দাবি পরিশোধে পর্যাপ্ত প্রভিশনিং করেনি। যদিও আয়কর কর্তৃপক্ষের দাবির বিষয়টি আদালতে গড়িয়েছে। অগ্রিম প্রদান হিসেবে ২৫ লাখ টাকা আর্থিক হিসাবে দেখিয়ে আসছে বিচ হ্যাচারি কর্তৃপক্ষ। যে টাকা আদায় হবে বলে তারা আশাবাদি। কিন্তু এরমধ্যে এমন অর্থও রয়েছে, যেগুলো ৫ বছর ধরে কোন সমন্বয় হয়নি।

উল্লেখ্য, ২০০২ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া বিচ হ্যাচারির পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ৪১ কোটি ৪০ লাখ টাকা। এরমধ্যে পরিচালকদের কাছে ৩৪.৯৭ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ১৪.১৩ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মালিকানা ৫০.৯০ শতাংশ।