শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ এবং রসায়ন খাতের ৩৪টি কোম্পানির মধ্যে ২৯টি কোম্পানি চলতি অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকের অনিরিক্ষীত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এরমধ্যে আগের বছরের তুলনায় ১২টি কোম্পানির মুনাফা বেড়েছে। অন্যদিকে মুনাফা কমেছে ১৪টির। তিনটি কোম্পানি লোকসানে রয়েছে। অন্যদিনে এখনও আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি পাঁচটি কোম্পানি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, প্রথম প্রান্তিকে মুনাফা বৃদ্ধি পাওয়া ১২টি কোম্পানির মধ্যে রয়েছে অ্যাডভেন্ট ফার্মা, এম্বি ফার্মা, ইবনে সিনা ফার্মাসিটিক্যালস, জেএমআই সিরিঞ্জ, কহিনুল কেমিক্যালস, নাভানা ফার্মা, ওরিয়ন ফার্মা, এসিআই ফর্মুলেশন, একমি ল্যাবরেটরীজ, স্যালভো কেমিক্যালস এবং স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেড। আর মার্চ ক্লোজিং ম্যারিকো লিমিটেডের দুই প্রান্তিকে (এপ্রিল-সেপ্টেম্বর’২২) মুনাফা বেড়েছে।

ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যাল: প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২২) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৪ টাকা ৬৩ পয়সা। আগের বছর একই ইপিএস ছিল ৪ টাকা ৫৩ পয়সা। আগের বছরের তুলনায় কোম্পানিটির আয় বেড়েছে ১০ পয়সা।

জেএমআই সিরিঞ্জস: প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২২) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৮৮ পয়সা। আগের বছর ইপিএস ছিল ৮৬ পয়সা। আগের বছরের তুলনায় কোম্পানিটির আয় বেড়েছে ০২ পয়সা।

এসিআই ফরমুলেশন: প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২২) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৫৫ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১ টাকা ১২ পয়সা। আগের বছরের তুলনায় কোম্পানিটির আয় বেড়েছে ৪৩ পয়সা।

ওরিয়ন ফার্মা: প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২২) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৭২ পয়সা। আগের বছর ইপিএস ছিল ৩০ পয়সা। আগের বছরের তুলনায় কোম্পানিটির আয় বেড়েছে ৪২ পয়সা।

স্যালভো ক্যামিকেল: প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২২) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৬৩ পয়সা। আগের বছর ইপিএস ছিল ৫৫ পয়সা। আগের বছরের তুলনায় কোম্পানিটির আয় বেড়েছে ০৮ পয়সা।

একমি ল্যাবরেটরিজ: প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২২) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৯৩ পয়সা। আগের বছর ইপিএস ছিল ২ টাকা ৭৭ পয়সা। ইপিএস বেড়েছে ১৬ পয়সা।

অ্যাডভেন্ট ফার্মা: প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২২) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৪১ পয়সা। আগের বছর ইপিএস ছিল ৩৯ পয়সা। আগের বছরের তুলনায় কোম্পানিটির আয় বেড়েছে ০২ পয়সা।

এম্বি ফার্মাসিউটিক্যালস: প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২২) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২৫ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১২ পয়সা। আগের বছরের তুলনায় কোম্পানিটির আয় বেড়েছে ১৩ পয়সা।

কোহিনূর কেমিক্যালস: প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২২) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৬৬ পয়সা। আগের বছর ইপিএস ছিল ১ টাকা ৯৭ পয়সা। আগের বছরের তুলনায় কোম্পানিটির আয় বেড়েছে ৬৭ পয়সা।

নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালস: প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২২) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৯১ পয়সা। আগের বছর ইপিএস ছিল ৭৬ পয়সা। আগের বছরের তুলনায় কোম্পানিটির আয় বেড়েছে ১৫ পয়সা।

স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস: প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২২) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৬ টাকা ২০ পয়সা। আগের বছর ইপিএস ছিল ৫ টাকা ৬৪ পয়সা। আগের বছরের তুলনায় কোম্পানিটির আয় বেড়েছে ৫৬ পয়সা।

ম্যারিকো বাংলাদেশ: দুই প্রান্তিকে (এপ্রিল-সেপ্টেম্বর’২২) তথা ছয় মাসে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৬৩ টাকা ৫১ পয়সা। আগের বছর ইপিএস ছিল ৬২ টাকা ৭৩ পয়সা। আগের বছরের তুলনায় কোম্পানিটির আয় বেড়েছে ৭৮ পয়সা। কোম্পানিটি মার্চ ক্লোজিং হওয়ায় দুই প্রান্তিকের তথ্য তুলে ধরা হলো।