শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) মার্কেট থেকে মূল মার্কেটে আসা কোম্পানিগুলোর উদ্যোক্তা/পরিচালকদের শেয়ার বিক্রির সুযোগ করে দেওয়ায় নিয়ন্ত্রক সংস্থার সুশাসন নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে। যেসব কোম্পানির শেয়ার দর কারসাজির মাধ্যমে কয়েক গুণ বাড়িয়ে এখন উদ্যোক্তা/পরিচালকেরা বিক্রি করছেন। বলির পাঠা হচ্ছে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের। এ নিয়ে বিনিয়োগকারী রফিকুল ইসলাম নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড কমিশনের (বিএসইসি) উপর ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেছেন:

ওটিসি থেকে আসা ৪টি কোম্পানি:
১. সোনালী পেপার
২. মুন্নু ফেব্রিক্স
৩. পেপার প্রসেসিং
৪. মনোস্পুল

এদেরকে নিম্নোক্ত ৩ টি শর্তে মূল মার্কেটে নিয়ে আসা হয়:

১. ৩ বছর কোনো রাইট শেয়ার ইস্যু করতে পারবে না।
২. ৩ বছর পরিচালকরা কোনো শেয়ার বিক্রি করতে পারবে না।
৩. ৩ বছর কোনো বোনাস দিতে পারবে না।

আমরা বিশেষ কারণে ১ আর ৩ নাম্বার শর্তকে যদি ছাড়ও দেই, ২ নাম্বার শর্তটি কোনো ভাবেই মেনে নেয়া যায় না। ১০ টাকা ফেসভ্যালুর শেয়ারগুলো যখন ১ বছরের মধ্যে ডাবল-রিডাবল হয়ে গেল, তখনই স্পন্সররা শেয়ার বিক্রি শুরু করে দিল। আর এ ক্ষেত্রে খোদ নিয়ন্ত্রক সংস্থাই তাদেরকে শেয়ার বিক্রির অনুমতি দিয়েছে।

গত ১ বছরের মধ্যে শেয়ার বিক্রি করেছে: ১. সোনালী পেপারের উদ্যোক্তা/পরিচালকেরা-৬ লক্ষ শেয়ার (৬০০ টাকা মূল্যে)
২. পেপার প্রসেসিং ও মনোস্পুল- ধাপে ধাপে ১৯ লক্ষ শেয়ার ( ২০০ টাকা থেকে শুরু বর্তমানে চলমান)
৩. মুন্নু ফেব্রিক্স-৫৭ লক্ষ ৬৭ হাজার শেয়ার( ২৮ টাকা মূল্যে)

এই হলো বর্তমান কমিশনের সুশাসনের নমুনা। উপযুক্ত কার্যক্রম থেকে আমরা সহজেই অনুমান করতে পারি যে, নিয়ন্ত্রক সংস্থা ব্যক্তি স্বার্থে উল্লিখিত শেয়ারগুলোকে মূল মার্কেটে তালিকা ভুক্তির সুযোগ দিয়েছে। আর এক্ষেত্রে বলির পাঠা বানানো হয়েছে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের।