শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধকে কেন্দ্র করে দেশের দুই পুঁজিবাজারে টানা চার সপ্তাহ সূচকের পতন হয়েছে। এতে করে বিনিয়োগকারীরা আতঙ্কিত হয়ে শেয়ার সেল বাড়ানোর ফলে যখন বাজার আরও বেশি খারাপের দিকে যাচ্ছিলো, ঠিক তখনই বিএসইসির কয়েকটি তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত বাজারকে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করেছে। এরমধ্যে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে শেয়ারবাজারে সক্রিয়া ছিলবেশি উল্লেখযোগ্য।

জানা গেছে, বেশ কয়েকটি ব্যাংক আবারও পুঁজিবাজারে সক্রিয় হতে শুরু করেছে। দুই বছর আগে গঠিত হওয়া শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের জন্য ব্যাংকগুলোর বিশেষ তহবিলের পরিমাণ ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করেছে। এখনও পর্যন্ত ব্যাংকগুলো সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠন করেছে। এই তহবিলের মধ্যে মাত্র তিন হাজার ৬০০ কোটি টাকা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করেছে।

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, ব্যাংকগুলোর সক্রিয় অংশগ্রহণের ফলে টানা চার সপ্তাহের পতন থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে দেশের শেয়ারবাজার। এর মধ্যে দিয়ে গত সপ্তাহের তুলনায় দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের বাজার মূলধন বেড়েছে সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর আগে টানা চার সপ্তাহের পতনে ৩১ হাজার ৬৪৬ কোটি টাকার ওপরে বাজার মূলধন হারায় ডিএসই।

বাজার মূলধন এমন কমার পরিস্থিতি মোকাবেলায় শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকের প্রধান হিসাব কর্মকর্তাদের (সিএফও) সঙ্গে বৈঠক করে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ব্যাংক কর্মকর্তাদের সঙ্গে এই বৈঠকের পরই ঘুরে দাঁড়ায় দেশের শেয়ারবাজার।

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) তাৎক্ষণিক গৃহীত কিছু উদ্যোগ। বিএসইসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এখন থেকে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোনও কোম্পানির শেয়ারের দাম এক দিনে ২ শতাংশের বেশি কমতে পারবে না। কারণ, শেয়ারের দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা বা সার্কিট ব্রেকার বেঁধে দেওয়া হয়েছে ২ শতাংশে।

বিশ্লেষকদের ধারণা, বিএসইসির সার্কিট ব্রেকার বেঁধে দেওয়া ও ব্যাংকের সিএফও-দের বিনিয়োগের আশ্বাস এই বাজারকে ঘুরে দাঁড়াতে সহায়তা করেছে। এরফলে বিনিয়োগকারীদের আস্থাও বেড়েছে, যা বাজারের জন্য ছিল খুবই জরুরী।