শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত চামড়া খাতের কোম্পানি ফরচুন সুজ লিমিটেড ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। কোম্পানিটি চমকানো আয় করেছে এবং রেকর্ড ডিভিডেন্ড দিবে এমন তথ্য বাজারে ছড়িয়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর চার মাসে বাড়িয়ে করা হয়েছে আকাশ ছোঁয়া। কিন্তু যে আশায় এমনটি করেছে, তার প্রতিদান দিতে পারেনি কোম্পানিটি।

জানা গেছে, ফরচুন সুজের শেয়ারদর চার মাসে ১৬ টাকা থেকে বেড়ে অবস্থান করছে ৯১ টাকারও বেশি। এতে করে গত চার মাসে কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে সাড়ে ৫ গুণের বেশি। কিন্তু কোম্পানিটির গত বছরের তুলোনায় আয় হয়েছে দ্বিগুণের কম। ২০২০ সালের সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় ছিলো ৮০ পয়সা। চলতি বছর তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ৫৯ পয়সা।

তাহলে কোম্পানিটির শেয়ারদর এতো বেশি বেড়েছে কেন, জানতে চাইলে আরিফ রহমান নামে এক বিনিয়োগকারী বলেন, ফরচুন সুজের শেয়ার নিয়ে বাজারে গেম্লিংয়ের খবর ছড়ানো হয়েছে। এতে করে এই শেয়ারটিতে বিনিয়োগকারীরা বেশি ঝুঁকছে। এতে করে বাজার কোম্পানিটির চাহিদা বেড়ে যায়। ফলে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে কোম্পানিটির শেয়ারদর।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্চেন্ট ব্যাংকের সিইও বলেন, ফরচুনের শেয়ার নিয়ে বাজারে সুপরিচিত এক গেম্বলার গেম্বলিং করছে। কিন্তু কোম্পানিটি নিয়ে বিএসইসি কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি, যা বাজারের জন্য খুবই খারাপ দৃষ্টান্ত। আমরা আশা করি কোম্পানিটির বিষয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা ভালোভাবে খেয়াল রাখবে।

বিনিয়োগকারীদের সাথে কথা বললে জানা যায়, যে গেম্বলার কোম্পানিটির শেয়ার নিয়ে বাজার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে, সে আগেও বিমা কোম্পানির শেয়ার নিয়ে বাজার অস্থিতিশীল করেছিলো।

ফরচুন সুজ গেলো বছর ২০২০ সালে বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিলো। এর মধ্যে ৫ শতাংশ ক্যাশ এবং ৫ শতাংশ বোনাস। চলতি বছর ২০২১ সালের জন্য ১০ শতাংশ ক্যাশ এবং ৫ শতাংশ বোনাস ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। অর্থাৎ ডিভিডেন্ড বেড়েছে ৫০ শতাংশ। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৯১ টাকা ৮০ পয়সায়। সর্বশেষ শেয়ার দর অনুযায়ী কোম্পানিটির পিই রেশিও অবস্থান করছে ৬৫.৫৭ পয়েন্টে।

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, কোম্পানিটির মালিকানায় পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৩০.৯৩ শতাংশ শেয়ার। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ১৪.৪৫ শতাংশ। আর সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৫৪.৬২ শতাংশ শেয়ার।