শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ সামসুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ব্রোকাররা হচ্ছে বিনিয়োগকারীদের মৌলিক সংযোগ স্থাপক। এখন থেকেই পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীরা সংযুক্ত হয়। তারাই হচ্ছে ইন্টারফেজ, তাদেরকেই বিনিয়োগকারীরা দেখে, তাদের সঙ্গে বিনিয়োগকারীদের কথা হয়।

আর তাদের মাধ্যমে একটি বিও হিসাব খোলা হয়। তাদের মাধ্যমেই তথ্য উপাত্তের আদান-প্রদান করা হয়। টাকা-পয়সা আদান-প্রদান হয়। বলতে গেলে সব কিছুই হয় ব্রোকারদের মাধ্যমেই। তারা যে দায়িত্বটা নেয়, সেটা অসীম ও প্রসংশনীয়।

তিনি বলেন, পুঁজিবাজার কতিপয় মানুষের জন্য না। কেউ যদি এমনটি বলেন, তার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষন করব। এ বাজার সবার জন্য। আমাদেরকে চেষ্টা করতে হবে সবাইকে বুঝাতে ও জানাতে হবে বিনিয়োগ করার উপায় সর্ম্পকে। পুঁজিবাজারের চেয়ে ভালো বিনিয়োগ করার মতো অন্যকোন মাধ্যম আমার কাছে জানা নেই। অতএব পুঁজিবাজারকে কিভাবে সবার কাছে নিয়ে যাওয়া যায়, এজন্য আমাদেরকে সারাবছর ধরেই চেষ্টা করতে হবে। এ বাজার সর্ম্পক্যে মানুষকে জানানো, বুঝানো এবং আস্থা জাগিয়ে তুলতে হবে বলে মন্তব্য করেন।

রোববার (১০ অক্টোবর) ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহ উপলক্ষে ‘সচেতন বিনিয়োগ, টেকসই শেয়ারবাজার’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ডিএসই ব্রোকার্স এসোসিয়েশন (ডিবিএ) ও বাংলাদেশ একাডেমি ফর সিকিউরিটিজ মার্কেট (বিএএসএম) আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।

শেখ সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, আইটেম টাইপের ব্রোকার অ্যাসিসটেন্স ব্রোকার এখন আর বিনিয়োগকারীরা চান না। তারা চান, আরো সূচারু রূপে যেন তথ্য উপাত্ত পাওয়া যায়, যা দিয়ে তারা স্বাধীন ও স্বচ্ছ ভাবে বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

ব্রোকারদের অনেক গুরুদায়িত্ব রয়েছে জানিয়ে বিএসইসির এই কমিশনার বলেন, এ গুরুদায়িত্ব পালন করার জন্য সর্বোচ্চ সততা ও বিশ্বস্ততা দিয়ে ব্রোকারকে সবসময় সচেষ্ট থাকতে হবে। বিনিয়োগকারীদের সঠিক পথে পরিচালিত করার জন্য দিক নির্দেশনা দিতে হবে।

তিনি বলেন, মানি লন্ডারিং নিয়ে আমাদের তেমন কার্যক্রম ছিল না। তবে এ নিয়ে কাজ করার জন্য এখন আমাদের একটি ইউনিট আছে। স্ক্যামের উপরে আমরা অনেক কাজ করছি। এগুলো চলমান প্রক্রিয়া। ধীরে ধীরে আমরা আরও কঠোর হবো।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন ডিএসইর চেয়ারম্যান মো. ইউনুসুর রহমান। এতে সম্মানিত অতিথি ছিলেন ডিএসইর এমডি তারিক আমিন ভূইয়া। এছাড়া আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিবিএর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট রিচার্ড ডি রোজারিও ও ডিএসইর পরিচালক শাকিল রিজভী। আর অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএএসএম এর ডিজি ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরী ও ডিবিএর ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. সাজেদুল ইসলাম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডিবিএ সভাপতি শরীফ আনোয়ার হোসেন।