শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত গ্রামীন স্কীম-টু আশা জাগিযে হতাশায় ফেলেছে। তাই গ্রামীণ স্কীম ২ লভ্যাংশে হতাশ হয়ে পড়ছেন বিনিয়োগকারীরা। প্রতিষ্ঠানটি তৃতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত যে আয় দেখিয়েছিল, তাতে বিনিয়োগকারীরা বড় আশায় বুক বেঁধেছিল। কিন্তু সেই অনুযায়ী ডিভিডেন্ড ঘোষণা না করায় হতাশ হয়েছে তারা। কারন এশিয়ান টাইগার ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করলেও গ্রামীন স্কীম-টু ১৩ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করে। অথচ এশিয়ান টাইগারের চেয়ে গ্রামীন স্কীম-টু মুনাফা অনেক বেশি।

সমাপ্ত অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২০) বিনিয়োগকারীদের ফান্ডটি বড় মুনাফার মুখ দেখিয়েছিল। তখন থেকেই ফান্ডটির ডিভিডেন্ড নিয়ে তাদের প্রত্যাশা শুরু হয়। যদিও শেষ দুই প্রান্তিকে সেভাবে আয় দেখাতে পারেনি। তৃতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত কোম্পানিটির যে আয় ছিল তাও সন্তোষজন ছিল। কিন্তু বছরশেষে কোম্পানিটি যে পরিমাণ আয় প্রকাশ করেছে এবং যে পরিমাণ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে, তাতে তারা আকাশ থেকে যেন মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে। ৩০ জুন, ২০২১ অর্থবছরের জন্য ফান্ডটি ১৩ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। আর সমাপ্ত অর্থবছরে ফান্ডটির ইউনিট প্রতি আয় (আইপিইউ) দেখিয়েছে ১ টাকা ২১ পয়সা।

অথচ ফান্ডটি প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২০) ইউনিট প্রতি আয় (ইপিএস) দেখিয়েছে ৩ টাকা ৭ পয়সা। দ্বিতীয় প্রান্তিকের (অক্টোবর-ডিসেম্বর‘২১) ইউনিট প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল৯৫ পয়সা। দুই প্রান্তিক মিলে (জুলাই-ডিসেম্বর’২০) ফান্ডটির আয় হয়েছে ৪ টাকা ২ পয়সা।

কিন্তু তৃতীয় প্রান্তিকে ফান্ডটি (জানুয়ারি-মার্চ’২১) ইউনিট প্রতি লোকসান দেখিয়েছে ১০ পয়সা। এতে তিন প্রান্তিক মিলে তথা ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) ফান্ডটির ইউনিট প্রতি আয় দাঁড়িয়েছে ৩ টাকা ৯১ পয়সায়। যার ফলে ফান্ডটির ডিভিডেন্ড নিয়ে বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা কমেনি। যে কারণে ফান্ডটির ইউনিট দর ১৫ টাকা থেকে ধারাবাহিকভাবে বেড়ে ২১ টাকার উপরে ওঠে আসে।

কিন্তু ফান্ডটির ট্রাস্টি বছরশেষে ইউনিট প্রতি আয় দেখিয়েছে ১ টাকা ২১ পয়সা। যেখানে ৯ মাসে ফান্ডটির ইউনিট প্রতি আয় ছিল ৩ টাকা ৯১ পয়সা, সেখানে ১২ কীভাবে ১ টাকা ২১ পয়সা হয়? তাহলে কী চতুর্থ প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন’২) ফান্ডটি ইউনিট প্রতি ২ টাকা ৭০ লোকসান গুণেছে? কিন্তু এপ্রিল-জুন সময়তো পুঁজিবাজারও আরও রমরমা ছিল। এই প্রান্তিকেতো আরও বেশি আয় হওয়ার কথা।

কিন্তু ফান্ডটি কেন বড় লোকসান দেখাল। তাহলে কী আগের তিন প্রান্তিকের আয় সাজানো ছিল? ফান্ডটির বিনিয়োগকারীরা কোনভাবেই ফান্ডটির আয় ও ডিভিডেন্ডের হিসাব মিলাতে পারছে না। কোম্পানিটি যে আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তা এখন আগাগোড়াই অবিশ্বাস্য ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে মনে হচ্ছে। বিনিয়োগকারীরা বলছেন, ফান্ডটির আর্থিক প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের দেখা উচিত। উল্লেখ্য, ফান্ডটির ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রযেছে এইমস অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট।