শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৩৮টি সাধারণ বিমার মধ্যে এ পর্যন্ত ১৬টি কোম্পানি অর্ধবার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন (জানুয়ারি-জুন’২১) প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে দুটির আয় গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কমলেও চমক দেখিয়েছে বাকি সবগুলো বিমা কোম্পানি। কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আয় বেড়েছে প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্সের। চলতি বছর জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত শেয়ার প্রতি ২ টাকা ৫৮ পয়সা আয় করেছে। ২০২০ সালের অর্ধবার্ষিকে কোম্পানিটির আয় ছিল ২৬ পয়সা। শতকরা হিসেবে আয় বেড়েছে ৮৮৪.৫৬ শতাংশ।

দ্বিতীয় অবস্থান সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের। এই কোম্পানিটি গত জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত শেয়ার প্রতি আয় করেছে ৮১ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে আয় ছিল ৫৬ পয়সা। শতকরা হিসেবে আয় বেড়েছে ২২৪ শতাংশ। প্রবৃদ্ধিতে তৃতীয় অবস্থানে প্রাইম ইন্স্যুরেন্স। ছয় মাসে তারা শেয়ার প্রতি আয় করেছে ৭৫ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে আয় ছিল ৩১ পয়সা। এই সময়ে কোম্পানির আয় বেড়েছে ৪৪ পয়সা বা ১৪১.৯ শতাংশ।

প্রবৃদ্ধিতে চতুর্থ অবস্থানে থাকলেও শেয়ার প্রতি আয় সবচেয়ে বেশি গ্রিনডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের। এই কোম্পানিটি ছয় মাসে শেয়ার প্রতি আয় করেছে ৩ টাকা ৮৭ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে আয় ছিল ১ টাকা ৬৩ পয়সা। আয় বেড়েছে ২ টাকা ২৪ পয়সা বা ১৩৭.৪ শতাংশ।

গত এক বছরে ১০ গুণেরও বেশি দাম বৃদ্ধি পাওয়া প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স ছয় মাসে শেয়ার প্রতি আয় করেছে ১ টাকা ৮২ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে আয় ছিল ৯৪ পয়সা। আয় বেড়েছে ৮৮ পয়সা বা ৯৩.৬২ শতাংশ।

প্রবৃদ্ধিতে ষষ্ঠ অবস্থানে আর টাকার অঙ্কে শেয়ার প্রতি আয়ের দিক থেকে তৃতীয় অবস্থানে থাকা প্রগতি ইন্স্যুরেন্সের ছয় মাসে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৩ টাকা ১১ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে আয় ছিল ২ টাকা ৫ পয়সা। আয় বেড়েছে ১ টাকা ৬ পয়সা বা ৫১.৭১ শতাংশ।

পিপলস ইন্স্যুরেন্স এই সময়ে আয় করেছে ১ টাকা ১৪ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে আয় ছিল ৮১ পয়সা। আয় বেড়েছে ৩৩ পয়সা বা ৪০.৭৪ শতাংশ। জনতা ইন্স্যুরেন্স শেয়ার প্রতি আয় করেছে ৯৮ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে আয় ছিল ৭০ পয়সা। আয় বেড়েছে ২৮ পয়সা বা ৪০ শতাংশ।

স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের ছয় মাসে জানুয়ারি থেকে জুন সময়ে শেয়ার প্রতি আয় করেছে ১ টাকা ৪০ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে আয় ছিল ১ টাকা ৭ পয়সা। এই সময়ে কোম্পানির আয় বেড়েছে ৩৩ পয়সা বা ৩৪.৫৭ শতাংশ।

প্রবৃদ্ধিতে খুব বেশি এগিয়ে না থাকলেও শেয়ার প্রতি আয়ের দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্সের ইপিএস ৩ টাকা ৩১ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে আয় ছিল ২ টাকা ৪৯ পয়সা। আয় বেড়েছে ৮২ পয়সা বা ৩২.৯৩ শতাংশ।

এশিয়া প্যাসিফিক ইন্স্যুরেন্স শেয়ার প্রতি আয় করেছে ১ টাকা ৯৭ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে আয় ছিল ১ টাকা ৫১ পয়সা। আয় বেড়েছে ৪৬ পয়সা বা ৩০.৪৬ শতাংশ। কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স শেয়ার প্রতি আয় করেছে ১ টাকা ১৭ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে আয় ছিল ৯৯ পয়সা। আয় বেড়েছে ১৮ পয়সা বা ১৮.১৮ শতাংশ।

ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স চলতি বছর জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত শেয়ার প্রতি ১ টাকা ৮১ পয়সা আয় করেছে। গত বছরের একই সময়ে এই আয় ছিল ১ পয়সা ৫৭ ছিল। শতকরা হিসেবে আয় বেড়েছে ১৫.২৮ শতাংশ। রূপালী ইন্স্যুরেন্স শেয়ার প্রতি আয় করেছে ৯৬ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৯৫ পয়সা। এই সময়ে কোম্পানির আয় বেড়েছে ১ পয়সা বা ১.০৫ শতাংশ।

মুনাফা কমেছে যেগুলোর : বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের ছয় মাসে জানুয়ারি থেকে জুন সময়ে শেয়ার প্রতি আয় করেছে ৭৫ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে আয় ছিল ৯৩ পয়সা। কোম্পানির আয় কমেছে ১৮ পয়সা বা ১৯.৩৫ শতাংশ।

ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্সের ছয় মাসে জানুয়ারি থেকে জুন সময়ে শেয়ার প্রতি আয় করেছে ১ টাকা ০৯ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে আয় ছিল ১ টাকা ২৫ পয়সা। এই সময়ে কোম্পানির আয় কমেছে ১৬ পয়সা বা ১২.৮ শতাংশ।