শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: করোনা সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধের দ্বিতীয় কার্যদিবসে সোমবার দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন শুরু হয় সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায়। ফলে লেনদেনের প্রথম দশ মিনিটেই প্রকৌশল, বীমা এবং বস্ত্রখাতের বেশির ভাগ শেয়ারের দাম বাড়ায় ডিএসইর প্রধান সূচক পয়েন্ট ৪৩ বেড়ে পাঁচ হাজার ১৩২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক বেড়েছে ২৪ এবং ডিএসইএস শরিয়াহ সূচক বেড়েছে ছয় পয়েন্ট। তাতে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২০ কোটি ২০ লাখ টাকা। তবে লকডাউনের প্রথম দিনের লেনদেন শুরু হয়েছে সকাল ১০টায়। করোনা মহামারি বেড়ে যাওয়ায় সরকার থেকে লকডাউন ঘোষণা করায় আগামী সাত দিন পুঁজিবাজারের লেনদেন হবে দুপুর ১২টা পর্যন্ত।

লেনদেন শুরু হয়েছে সূচকের ৭ পয়েন্ট উত্থানে। এ সময় লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছিল ২১টি কোম্পানির। তবে লেনদেন সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দর বৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানির সংখ্যাও বাড়তে দেখা গেছে।

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) আগেই জানিয়েছিল, ব্যাংক খোলা থাকলে পুঁজিবাজারের লেনদেন হবে। একই সঙ্গে এটাও বলেছিল, ব্যাংকে যত ঘণ্টা লেনদেন চলবে পুঁজিবাজারেও সে অনুযায়ী সময় নির্ধারণ করা হবে। রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয় ব্যাংকের কার্যক্রম সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত চলবে। নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম চলবে বেলা ২টা পর্যন্ত।

এমন নির্দেশনা আসার পর পুঁজিবাজারের জন্য নতুন সময়সীমা নির্ধারণ করে বিএসইসি। যেখানে বলা হয় সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলবে পুঁজিবাজারের লেনদেন। লেনদেন শেষ হওয়ার পর সমন্বয়ের জন্য সময় প্রয়োজন হওয়ায় ব্যাংকের চেয়ে ৩০ মিনিট কম কার্যক্রম চলবে পুঁজিবাজারে। করোনা মহামরিতে পুঁজিবাজারের লেনদেন চলবে এমন বক্তব্য অনেক আগেই নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির পক্ষ থেকে বলা হলেও রোববার গত এক বছরের সর্বোচ্চ সূচকের পতন হয় ১৮১ পয়েন্ট।

লকডাউনে পুঁজিবাজারের লেনদেন সম্পর্কে বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি মিজানুর রশিদ চৌধুরী বলেন, পুঁজিবাজারের পতন হওয়ার মতো কোনো ঘটনা এখনও ঘটেনি। রোববার সূচকের যে পতন হয়েছে, তা মূলত আতঙ্কে। সোমবারের নতুন নিয়মে লেনদেন শেষ পর্যন্ত ইতিবাচক হলে বিনিয়োগকারীরা আবারও আশ্বস্ত হয়ে পুঁজিবাজারমুখী হবে।’

এদিকে বিএসইসির পক্ষ থেকে লকডাইন সময়কালে বিনিয়োগকারীদের সরাসরি ব্রোকারেজ হাউজে না এসে মোবাইল অ্যাপ বা মোবাইলে শেয়ার ক্রয়-বিক্রয়ের পরামর্শ প্রদান করা হয়।