শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের কোম্পানি ওয়ান ব্যাংক লিমিটেড ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ হিসাব বছরের জন্য ১১.৫০ শতাংশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে ৬ শতাংশ ক্যাশ ও ৫.৫০ শতাংশ বোনাস। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

৩১ ডিসেম্বর, ২০১৯ হিসাব বছরে কোম্পনিটি ১০ শতাংশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল। এর মধ্যে ছিল ৫ শতাংশ ক্যাশ ৫ শতাংশ বোনাস। সমাপ্ত ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে এক টাকা ৫৭ পয়সা। আগের বছর ছিল এক টাকা ৯১ পয়সা।

২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত অর্থবছরে ব্যাংকটির শেয়ারধারীরা শেয়ার প্রতি ৫০ পয়সা নগদ ও প্রতি ১০০ শেয়ারে ৫ টি অর্থাৎ সর্বমোট ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল। এই ব্যাংকটি যে হারে লভ্যাংশ দিতে যাচ্ছে, সেটি ব্যাংকে যে কোনো সঞ্চয়ী স্কিম বা এফডিআরের প্রায় সমান।

রোববার ব্যাংকটির শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ১০ টাকা ৮০ পয়সা। এর মধ্যে ৬০ পয়সা অর্থাৎ শেয়ারমূল্যের ৫.৫ শতাংশ লভ্যাংশ হিসেবে পাচ্ছেন।বর্তমানে এফডিআরের সুদহার সাড়ে চার থেকে সর্বোচ্চ ৬ শতাংশ। এর বাইরে যে শেয়ার লভ্যাংশ পাওয়া যাবে, সেটি অবশ্য শেয়ার মূল্যের সঙ্গে সমন্বয় হবে।

রোববার ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সোমবার ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে এই সিদ্ধান্ত প্রকাশ করা হবে। এদিন শেয়ারের কোনো মূল্যসীমা থাকবে না। করোনার বছরে এখন পর্যন্ত যেসব ব্যাংক লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে, তার মধ্যে দ্বিতীয় ব্যাংক হিসেবে মুনাফা কমেছে ওয়ান ব্যাংকের।

গত বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে এক টাকা ৫৭ পয়সা। আগের বছর যা ছিল এক টাকা ৯১ পয়সা, যা ওই বছর দেয়া ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার সমন্বয়ের পর দাঁড়ায় ১ টাকা ৮১ পয়সা। এই হিসাবে ব্যাংকটির মুনাফা কমেছে ২৪ পয়সা বা ১৩ শতাংশ।

তবে ব্যাংকটির পরিচালন মুনাফা কমেছিল আরও বেশি হারে। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে সমাপ্ত অর্থবছরে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালন মুনাফা ছিল ৩১৫ কোটি টাকা, যা আগের বছর ছিল ৪৩৫ কোটি টাকা। শতকরা হিসেবে মুনাফা কমে ২৮ শতাংশ।