শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: মহামারির বছরে আগের পাঁচ বছরের তুলনায় বেশি আয় করার পর শেয়ারধারীদের জন্য লভ্যাংশও বাড়াতে যাচ্ছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত যমুনা ব্যাংক। ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর সামপ্ত অর্থবছরের জন্য শেয়ারধারীদেরকে এক টাকা ৭৫ পয়সা করে লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ২৫ পয়সা করে বেশি। বুধবার ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে ব্যাংকটির বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

বুধবার ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি দাম দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা ৬০ পয়সা। এই হিসাবে শেয়ার দরের ৯.৪০ শতাংশ লভ্যাংশ হিসেবেই পেয়ে যাবেন বিনিয়োগকারীরা। বর্তমানে আমানতের সুদহার ৪.৫ থেকে সর্বোচ্চ ৬ শতাংশ। এই হিসাবে ব্যাংকে একই পরিমাণ টাকা রাখলে লভ্যাংশের অর্ধেক টাকাও সুদ হিসেবে পাওয়া যাবে না।

ব্যাংকটির বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০২০ সালে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৩ টাকা ৫৬ পয়সা। কেবল গত বছর নয়, আগের পাঁচ বছরেও এত বেশি আয় করতে পারেনি ব্যাংকটি।

২০১৯ সালে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় ছিল ৩ টাকা ৩৮ পয়সা। তার আগের বছর এই আয় ছিল ৩ টাকা ৮ পয়সা। ২০১৭ সালেও আয় ছিল ৩ টাকা ৩৮ পয়সা। ২০২৬ সালে ছিল ২ টাকা ৯২ পয়সা আর ২০২৫ সালে ২ টাকা ৬৮ পয়সা।

এই লভ্যাংশ নিতে চাইলে শেয়ারধারীদেরকে আগামী ২০ এপ্রিল পর্যন্ত শেয়ার ধরে রাখতে হবে। এই লভ্যাংশ চূড়ান্ত হবে আগামী ৩১ মে বার্ষিক সাধারণ সভায়। করোনাকালে এই সভা হবে ডিজিটাল প্লাটফর্মে।

করোনার বছরে ব্যাংকগুলোর পরিচালন মুনাফা ব্যাপকভাবে কমে যাওয়ার যে ঘটনা ঘটে, তাতে আগের বছরের চেয়ে কম আয় করার শঙ্কা তৈরি হয় যমুনা ব্যাংকের ক্ষেত্রেও।

গত ৩১ ডিসেম্বরের পর অনিরীক্ষিত যে প্রতিবেদন গণমাধ্যমে আসে, তাতে দেখা যায়, গত বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকটির আয় হয় ৬৪০ কোটি টাকা। আগের বছর যা ছিল ৭২৫ কোটি টাকা। তবে চূড়ান্ত মুনাফা বেড়েছে ১৮ পয়সা বা ৫ শতাংশ।

এর আগে লভ্যাংশ ঘোষণা করা ডাচ বাংলা, শাহজালাল ইসলামী, সিটি ও ব্যাংক এশিয়ার ক্ষেত্রে একই প্রবণতা দেখা গেছে।