শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: প্রস্তাবিত ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে পুঁজিবাজারে কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ.হ.ম মুস্তফা কামাল। বৃহস্পতিবার (১১ জুন) তিনি বাজেটে এই প্রস্তাব করেছেন। করোনার মহামারি থেকে ঘুরে দাঁড়াতে ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য বিনা শর্তে অপ্রদর্শিত অর্থের (কালো টাকা) বিনিয়োগ বাজারের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হলো। কারন বর্তমান বৈশ্বিক মহামারির কারণে লেনদেনে খড়া দেখা দিয়েছে।

ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করার পরও সূচকের পতন হচ্ছে। বাজারে আস্থা ও তারল্য সংকট বিরাজ করছে। এই সংকট থেকে উত্তরণে পুঁজিবাজারে অপ্রদর্শিত অর্থের বিনিয়োগে একদিকে লেনদেন বাড়বে, অন্যদিকে বাজারে আস্থার সঙ্কট কাটবে এবং দেশের অর্থনীতির উন্নতি হবে।

বাজেট ঘোষণায় অর্থমন্ত্রী বলেছেন, কোন কোন করদাতার রিটার্ন দাখিলে অজ্ঞতার কারনে তাদের কিছু অর্জিত সম্পদ প্রদর্শনে ত্রুটি বিচ্যুতি থাকতে পারে। এ অবস্থায় করদাতাদের আয়কর রিটার্নের ত্রুটি সংশোধনের সুযোগ প্রদান এবং অর্থনীতির মূল স্রোতে অর্থ প্রবাহ বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমি আয়কর অধ্যাদেশে দুটি ধারা সংযোজনের প্রস্তাব করছি।

প্রথমত, দেশের প্রচলিত আইনে যাই থাকুক না কেনো, আগামি ১ জুলাই থেকে ২০২১ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ব্যক্তিশ্রেণীর করদাতাগন আয়কর রিটার্নে অপ্রদর্শিত জমি, বিল্ডিং, ফ্ল্যাট ও এপার্টমেন্টের প্রতি বর্গমিটারের উপর নির্দিষ্ট হারে এবং নগদ অর্থ, ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, সঞ্চয়পত্র, শেয়ার, বন্ড বা অন্য কোন সিকিউরিটিজের উপর ১০ শতাংশ কর প্রদান করে আয়কর রিটার্নে প্রদর্শন করলে, আয়কর কর্তৃপক্ষসহ কেউ এ বিষয়ে কোন প্রশ্ন উত্থাপন করতে পারবে না।

দ্বিতীয়ত, শেয়ারবাজারকে গতিশীল করার জন্য ৩ বছর লক-ইনসহ কতিপয় শর্ত সাপেক্ষে আগামি অর্থবছরে ব্যক্তিশ্রেণীর করদাতাগন বিনিয়োগ করলে এবং বিনিয়োগের উপর ১০ শতাংশ কর প্রদান করলে, আয়কর কর্তৃপক্ষসহ কেউ এ বিষয়ে কোন প্রশ্ন উত্থাপন করতে পারবে না।

করোনাভাইরাসে সৃষ্ট মহামারিতে শেয়ারবাজারেও তারল্য সংকট তৈরী হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে শেয়ারবাজারে কালোটাকা বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়ার দাবি তোলা হয়। অবশেষে আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এটা পুঁজিবাজারের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।