শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম বলেছেন, দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের ক্ষেত্রে পুঁজিবাজারকে উৎসাহিত করা হবে। যাতে দীর্ঘমেয়াদি পুঁজির প্রয়োজনে ব্যবসায়ীরা পুঁজিবাজারে আসতে পারেন। আমরা তাদেরকে পুঁজির সমাধান দিতে চেষ্টা করবো। সবাই সমন্বয়ের সঙ্গে কাজ করলে, অর্থনীতিকে অনেক কিছু দেওয়া সম্ভব।

পুঁজিবাজারের সঙ্গে সম্পৃক্ত সবাইকে নিয়ে একটি শক্তিশালী বাজার গড়ে তুলতে চেষ্টা করবো। বিনিয়োগকারীরা ধৈর্য্য ধরুন। আমার উপর আস্থা রাখুন। মঙ্গলবার একটি বেসরকারি টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিএসইসির নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান এ কথা বলেছেন।

শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম বলেন, আগে বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে কাঠামো (ইনফ্রাস্ট্রাকচার) ছিলো না, কিন্তু গত ১০ বছরে আমরা কাঠামো পেয়েছি। এছাড়া আইন-কানুন নীতিমালা তৈরি হয়েছে। এখন সময় হচ্ছে আমাদের সবার একটা ভালো ক্যাপিটাল মার্কেট দেওয়া। সেটা নিয়ে আমরা এখন কাজ করবো। আমরা এখন কাঠামো, নীতিমালা ও সুযোগ-সুবিধা সব পেয়ে গেছি, অল্প কিছু কাজ করতে হবে। আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে মার্কেটটাকে ঠিকভাবে গড়ে তোলা।

অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত বলেন, অনেক চ্যালেঞ্জ অনেক সুযোগ সৃষ্টি করে। আমি মনে করি অনেক বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখী আমরা। আমরা এই চ্যালেঞ্জ সবার সহযোগিতায় মোকাবিলা করবো। এছাড়া সামনের দিনগুলোতে বাজারকে একটি সত্যিকার রূপ দেওয়ার জন্য ও যেটা সবাই আশা করে, সেটা দেওয়ার জন্য সচেষ্ট থাকবো এবং চেষ্টা করবো।

বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, আমি ইক্যুইটি মার্কেটকে নিশ্চয়ই খেয়াল করবো এবং সেখানে নতুন নতুন ভালো কোয়ালিটির যাতে আইপিও আসে সেদিকে খেয়াল রাখবো। সুশাসনের বিষয়টিও দেখবো নিশ্চয়ই। এখানে বন্ড মার্কেট ও ডেরিভেটিবস নিয়ে কাজ করার সুযোগ আছে। ফিউচার অপশন নিয়েও কাজ করার সুযোগ আছে। যদিও আমাদের ডেরিভেটিবসের ক্ষেত্রে হয়তো অভিজ্ঞতার অভাব থাকতে পারে। তারপরেও আমরা প্রথমে বন্ড মার্কেটটাকে নিয়ে খুবই বড়ভাবে কাজ করার চিন্তা-ভাবনা করবো।

তিনি বলেন, সব মার্কেটেই যারা দায়িত্বে থাকেন, তারা নিশ্চয়ই চাইবেন ভালো আইপিও আসুক। আসলে আমাদের যাচাই-বাছাইয়ের পরেইতো ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা সেই সব কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে। যারা এইসব কোম্পানির বিভিন্ন আর্থিক হিসাব নিরীক্ষা (অডিট) করে, তাদেরকে আমি বলবো যাতে আমাদেরকে ঠিকভাবে রিপোর্ট দেওয়া হয়। সব তথ্যগুলো যাতে সত্য ও ঠিকভাবে থাকে, তাহলেই আমাদের যাচাই-বাছাইটা ঠিকভাবে সম্ভব হবে। তারপরেও আমরা খেয়াল করবো একজন বিনিয়োগকারীকে বিনিয়োগ করার আগে আমরা নিজেরা কোম্পানিটি সম্পর্কে সন্তুষ্ট কি না।

শিবলী রুবাইয়াত বলেন, আর্থিক হিসাব বিশ্লেষণের ব্যাপারে কমিশন যে কাজগুলো করে, সেই তথ্যগুলো কমিশনের তৈরি করা না। বিভিন্ন কোম্পানি তৈরি করে এবং এগুলো বিভিন্ন নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান হয়ে কমিশনে আসে। তাই সবার প্রতি অনুরোধ থাকবে, যাতে সঠিক তথ্য পাই এবং কোনো ম্যানুপুলেশন না থাকে। তারপরেও আমরা যাচাই-বাছাই করে অবশ্যই দেখবো।

বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, অর্থমন্ত্রণালয়ের অধীনে বিএসইসি, বাংলাদেশ ব্যাংক, ন্যাশনাল বোর্ড অব রেভিনিউসহ অন্যান্য যারা আছে, সবাই যদি সমন্বয় রেখে, নেটওয়ার্কিং রেখে এবং আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে কিন্তু অর্থনীতি এগিয়ে যাওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।