শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঋণ সংক্রান্ত তথ্য ভা-ারে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসিকে প্রবেশাধিকার দিতে আগ্রহী নয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এ সংক্রান্ত বিএসইসির একটি প্রস্তাবের বিষয়ে অসম্মতি জানিয়েছে তারা। তবে বিএসইসি চাইলে বর্তমান নিয়মে যে কোন ব্যক্তি অথবা প্রতিষ্ঠানের ঋণ সংক্রান্ত তথ্য সরবরাহ করে যাবে বলে নিশ্চয়তা দিয়েছে।

উল্লেখ, বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবিতে দেশের সব তফসিলি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণগ্রহীতাদের বিস্তারিত তথ্য থাকে। কোন ব্যাংক বা নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এনবিএফআই) কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দিতে চাইলে সিআইবি থেকে তার ঋণ সংক্রান্ত প্রতিবেদন নিতে হয়। কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ঋণ খেলাপী হলে আইন অনুসারে তাকে ঋণ দিতে পারে না কোন ব্যাংক বা এনবিএফআই।

বিদ্যমান আইন অনুসারে কোন কোম্পানির স্পন্সর এবং পরিচালকদের কেউ ঋণ খেলাপী হলে ওই কোম্পানির আইপিও, রিপিট আইপিও এবং রাইট শেয়ার ইস্যুর প্রস্তাব অনুমোদন করে না বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। তাই প্রতিটি আইপিও, রিপিট আইপিও এবং রাইট শেয়ার ইস্যুর প্রস্তাবের অনুমোদন সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে সিআইবি রিপোর্ট চাওয়া হয়। বন্ড অনুমোদনের ক্ষেত্রেও একই পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়।

বন্ড মার্কেটকে শক্তিশালী করতে দ্রুততম সময়ে বন্ডের অনুমোদন সংক্রান্ত বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার সুবিধার্থে সিআইবির তথ্য ভা ারে সরাসরি প্রবেশাধিকার চেয়েছিল বিএসইসি। আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলামের নেতৃত্ব গঠিত বন্ড মার্কেটকে শক্তিশালী করা সংক্রান্ত বিশেষ কমিটিও বিষয়টি সুপারিশ করেছিল। কিন্তু তাতে সায় দেয়নি বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, সিআইবির বিষয়টি খুবই গোপনীয়। জাতীয় সংসদ ছাড়া এটি আর কারও কাছে প্রকাশ করা আইনত সম্ভব নয়।

উল্লেখ, বন্ড ও ডিবেঞ্চারসহ বিভিন্ন ধরনের ঋণপত্র ইস্যুকারী কিছু প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিনিয়োগকারীদের প্রাপ্য অর্থ পরিশোধ না করার অভিযোগ আছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে এই ঋণ খেলাপীদের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণের জন্য অযোগ্য ঘোষণার সুপারিশ করেছে বিএসইসি।

এদিকে বন্ড, ডিবেঞ্চার ইত্যাদি ঋণপত্রের ক্রেতাদের কোন তালিকা থেকে থাকলে তা বিএসইসির সঙ্গে শেয়ার করার একটি প্রস্তাবেও অসম্মতি জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তারা বিএসইসিকে এই ধরনের একটি তালিকা প্রণয়ন এবং ঋণপত্রের ইস্যুয়ার ও বিনিয়োগকারীদের তালিকা সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে শেয়ার করার পরামর্শ দিয়েছে, যাতে তারা কোন বন্ড খেলাপীকে ঋণ না দেয়।