indexশেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে টানা চার কার্যদিবসে সুচকের উর্ধ্বমুখী প্রবনতা পর গত দুই কার্যদিবস ধরে কিছুটা ধীর গতিতে সুচক ও লেনদেন চলছে। বুধবার বাজারে লেনদেনের শুরুতে সুচকের কিছুটা কারেকশন হয়েছে। তবে এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলে মনে করছেন বাজার বিশ্লেষকরা।

বাজার বিশ্লেষনে দেখা যায়, বুধবার লেনদেনের শুরুতে শেয়ার বিক্রির চাপে দরপতন হয়েছে। তবে গত কয়েকদিন বাজার ভালো থাকায় বুধবার শেয়ার বিক্রির চাপের কারণে দরপতন হয়েছে বলে একাধিক বিনিয়োগকারীরা বলেছেন। আজ বৃহস্পতিবার বাজার ঘুরে দাঁড়াবার কথা রয়েছে।

বাজার বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, বুধবার প্রধান পুঁজিবাজার ডিএসইতে দিনশেষে সূচক কমার পাশাপাশি কমেছে শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দর। সকালে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় লেনদেন শুরু হলেও শেয়ার বিক্রির চাপে এক সময় দরপতন শুরু হয়। যা দিনের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকে।

বাজার বিশ্লেসনে দেখা যায়, ১০ কার্যদিবসে বাজারের মাত্র ১ কার্যদিবসে ৪০০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। কিন্তু গতকাল এক কার্যদিবসে লেনদেনের পতনে বাজারের ১ হাজার ৫৪০ কোটি ১৪ লাখ টাকা গায়েব হয়ে গেছে। বাজারের সিংহভাগ কোম্পানির শেয়ার দর পতন অব্যাহত থাকায় দিনশেষে বাজার মূলধনে এমন পরিবর্তন এসেছে। যা বিনিয়োগকারীদের টাকাই বলছেন তারা। এদিকে, গত দুই কার্যদিবসে কমেছে সূচক ও লেনদেন। বাজারের এমন অবস্থায় আস্থা সংকটে ভুগছে বিনিয়োগকারীরা।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, আজ বাজারের লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর কমেছে ১৯৭টির। এরই ধারাবাহিকতায় দিনশেষে বাজার মূলধন কমেছে দেড় হাজার কোটি টাকা। এসময় ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের কার্যদিবসের চেয়ে ২৮.০৩ পয়েন্ট কমে ৪৩৬৬.০৩ পয়েন্ট,

ডিএস-৩০ মূল্য সূচক ১১.৭৫ পয়েন্ট কমে ১৬৯৩.০১ পয়েন্ট এবং ডিএসইএস শরীয়াহ্ সূচক পয়েন্ট ৫.১৪ কমে ১০৬৮.৪৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। লেনদেনকৃত ৩১৩ টি কোম্পনির মধ্যে দর বেড়েছে ৭২ টির, কমেছে ১৯৭ টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৪ টি কোম্পানির শেয়ার।

বাজার সংশ্লিষ্টরা এটাকে কারেকশন বললেও বিনিয়োগকারীরা বলছেন অন্য কথা। তাদের ভাষ্যমতে বাজারের বর্তমান চিত্রকে কিছুতেই স্বাভাবিক বলা যায় না। বাজারে এখন যেটা হচ্ছে তা কারেকশনের নামে কারসাজি।

এ প্রসঙ্গে বিনিয়োগকারী আতাউর রহমান বলেন, গত কয়েক কার্যদিবসে আমরা স্থিতিশীল পরিবেশ দেখতে পেয়ে ছিলাম। কিন্তু এখন সে চিত্র বদলে গেছে। এ বাজারের ভবিষ্যত নিয়ে আমরা শঙ্কিত। এভাবে চলতে থাকলে অচিরেই আমাদের আবারো পথে বসতে হবে। কারণ ২০১০ সালের ধসের রেশ এখনো কাটাতে পারিনি।

একই প্রসঙ্গে বিনিয়োগকারী জাহানারা জামান বলেন, বাজার আবার খেলোয়াড়দের দখলে চলে গেছে। যে কারণে বাজার চিত্র হঠাৎ করে এমনভাবে বদলে গেছে। সংশ্লিষ্টদের এখনি বিষয়টি খতিয়ে দেখা উচিত।