শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) দিনভর সূচকের উঠানামা করলেও দিনশেষে সূচক ও লেনদেনের উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে গত কয়েক মাস ধরে টানা দরপতনে বিনিয়োগকারীরা আস্থা সংকটে ভুগছেন।

এরমধ্যে যুদ্ধ বিগ্রহ, অর্থনৈতিক মন্দা, রাজনৈতিক অস্থিরতা, সর্বশেষ আসন্ন বাজেটে গেইন ট্যাক্স আরোপ সহ নানা বিষয়কে কেন্দ্র করে গত এক বছর যাবত চলছে টানা দরপতনের মাতম। কেবল চলতি বছরের ৫ মাসেই পুঁজিবাজারে হাজার পয়েন্টের বেশি সূচক উধাও হয়ে গেছে। এতে বিনিয়োগকারীদের মূলধন খোয়া গেছে ১ লাখ ২৭ হাজারের বেশি টাকার।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত বছরের ৫ জুন প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) প্রধান সূচক ছিল ৬ হাজার ৩৫৬ পয়েন্ট। এক বছর পর আজ বৃহস্পতিবার সূচক কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ২৩৭ পয়েন্টে। এক বছরে সূচক কমেছে ১ হাজার ১১৯ পয়েন্ট। এতে দেখা যায়, গত ৫ জুন ২০২৩ তারিখে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ৭৪ হাজার কোটি ০৩ লাখ টাকা। আর এক বছর পর আজ ৬ জুন ডিএসইর বাজার মূলধন কমে দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৪৬ হাজার ৪৭ লাখ কোটি টাকায়।

এক বছরের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ১ লাখ ২৭ হাজার ৫৬ লাখ টাকা। তবে গত এক মাসে গেইন ট্যাক্সের খবরে ডিএসইর সূচক কমেছে সবচেয়ে বেশি। এই সময়ে সূচক কমেছে প্রায় ৫০০ পয়েন্ট এবং বাজার মূলধন কমেছে প্রায় ৬৫ হাজার কোটি টাকা। গত এক মাসে প্রতি সপ্তাহেই সূচক ও মূলধন উধাও হয়েছে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ১৫২ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ১৬৬ প্রতিষ্ঠানের। এছাড়া ৭৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এরপরও ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ১২ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ২৩৭ পয়েন্টে উঠে এসেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক আগের দিনের তুলনায় এক পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ১৩৬ পয়েন্টে।

এছাড়া বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৩ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৮৫৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৫৪২ কোটি ৬০ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৩৮১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ৬১ কোটি ২৬ লাখ টাকা।

অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৪ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৯৯ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬৮টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১০৩টির এবং ২৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১৪ কোটি ৩২ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ১৫৯ কোটি ৬৫ লাখ টাকা।