Untitled-1মোবারক হোসেন, শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে টানা তিন কার্যদিবস ধরে সুচকের দরপতনে সব মহলে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ছে। হঠাৎ বাজারের এরকম আচরনে বিনিয়োগকারীরা দু:চিন্তায় পড়েছেন। তাছাড়া টানা সূচকের দরপতন মেনে নিতে পারছেন না বিনিয়োগকারীরা। গত তিন কার্যযদিবসে পর্দার অন্তরালে সূচকের কারেকশনে হয়েছে ৩৫০। তবে দৃশ্যমান সুচকের কারেকশন হয়েছে ২০৬।

অথাৎ বাজার বিশ্লেষনে দেখা গেছে, জ্বালানী ও ওষুধ ও রসায়ন খাতের শেয়ারের উর্ধ্বমুখী প্রবনতা বিরাজ থাকায় বড় ধরনের দরপতন থেকে বাজারকে রক্ষা করেছে। এসময় এসব খাতের শেয়ারগুলোর দর না বাড়লে বাজারের দরপতনেকে আরো ত্বরান্বিত করতো।

আজ ২৯ জানুয়ারি সূচকের ব্যাপক পতনে পুঁজিবাজারে এক প্রকার আতঙ্ক বিরাজ করেছে। গত সাত কার্যদিবসে যে পরিমাণ সূচক বেড়েছে একদিনেই তার আড়াইগুনেরও বেশি পতন হয়েছে। যার নেপথ্যে একাধিক ইস্যু কাজ করেছে।

নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, ব্যাংক ও নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর পুঁজিবাজারে যে পরিমাণ শেয়ার কেনা হয়েছে ঊর্ধ্বগতি বাজারের সুযোগ নিয়ে তারা মুনাফা বের করে নিয়েছেন। বিপুল পরিমাণ শেয়ার বিক্রি হওয়ায় সামগ্রিক বাজারের এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। তবে এই সেল প্রেসারের নেপথ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের ভূমিকা রয়েছে বলে জানা গেছে।

জানা যায়, সাম্প্রতিক বাজারের ঊর্ধ্বগতিতে ব্যাংক ও নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর পুঁজিবাজারে এক্সপোজারের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। কারণ পুঁজিবাজার এক্সপোজারের হিসাব মার্কেট ভ্যালুর ওপর নির্ভর করে। আর মার্কেট এক্সপোজারের পরিমাণ কনসোলিডেটেড পেইড আপ ক্যাপিটালের ৫০ শতাংশের বেশি হতে পারবে না বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা রয়েছে।

এছাড়া প্রত্যেক মাসের ১০ তারিখের মধ্যে ব্যাংকগুলোকে পুঁজিবাজার এক্সপোজারের হিসাব দাখিল করতে হয়। সম্প্রতি ব্যাংক ও নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মুনাফা বের করে নেয়ার এক ধরণের মৌখিক নির্দেশনা বাংলাদেশ ব্যাংকের রয়েছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে।

এদিকে ব্যাংক ও নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সেল প্রেসারের নেপথ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো ভূমিকা রয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে বিবি’র ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, শেয়ার বিক্রির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক কোনো নির্দেশনাই ব্যাংক ও নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে দেয়নি।

কারণ ক্যাপিটাল মার্কেটে তারা কোন শেয়ার কিনবে বা বিক্রি করবে এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক কোনো হস্তক্ষেপ করে না। তবে তাদেরকে আইনের মধ্যে থাকতে বলা হয়েছে। আইনের বাইরে কেউ কোনো কিছু যেন না করে সে বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা রয়েছে।

বাজারের টানা দরপতন প্রসঙ্গে বিনিয়োগকারী এ কে এম তারেকুজ্জামান দেশ প্রতিক্ষণ বলেন, বাজারের টানা দরপতন হলে বিএসইসি, ডিএসই, সিএসই নিরব কেন। টানা যখন সুচকের বৃদ্ধি ছিল তখন কেন দর বাড়ছে এ কারন জানতে চায়। এখন দরপতন হলে কেউ কোন ভ্রুক্ষোভ নিচ্ছে না।