bsec adalotআমীনুল ইসলাম শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারের আইন লঙ্ঘন করেও ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন ৩০ কোম্পানির পরিচালকরা। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গলি দেখিয়ে এখনো ৩০ কোম্পানির উদ্যোক্তা বা পরিচালকরা সম্মিলিত ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণের বাধ্যবাধকতা পূরণ করতে পারেননি।

পুঁজিবাজারে স্মরনকালের ভয়াবহ ধসের পর পুঁজিবাজারে অস্থিতিশীলতা দূর করতে তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকদের নিজ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ধারণের নির্দেশনা দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

এদিকে কোম্পানিগুলোর পরিচালকরা তাদের বেশিরভার দায় বিনিয়োগকারীদের কাধে চাপিয়ে নিজেদের নিজের স্বার্থ হাসিল করছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। তবে এসব জেনে শুনেও রহস্যজনক কারণে নিশ্চুপ রয়েছেন পুঁজিবাজারের নীতি-নির্ধারক সংস্থার কর্তাব্যক্তিরা। তাহলে বিনিয়োগকারীদের প্রশ্ন রক্ষক কি ভক্ষকের ভুমিকায় অবর্তীন।

এদিকে সম্প্রতি শেয়ার ধারণের এ শর্ত পূরণ না করার পরও তালিকাভুক্ত কোম্পানির মূলধন বাড়ানোর অনুমোদন দিচ্ছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে মূলধন বাড়ানোর এ সুযোগ করে দিচ্ছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। এর মাধ্যমে বিএসইসি নিজেদের নিয়ম নিজেরাই ভাঙছে এবং আনফেয়ার প্রাকটিস হচ্ছে বলে মনে করেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।

১ জুন তালিকাভুক্ত ইউনাইটেড এয়ারওয়েজকে প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে প্রতিটি শেয়ার ১০ টাকা দরে ৪০০ কোটি ৮০ লাখ ৮০ হাজার টাকার মূলধন সংগ্রহ করার অনুমোদন দিয়েছে বিএসইসি। এর আগে ২০১৪ সালের আগস্ট মাসে একটিভ ফাইন কেমিক্যাল প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ৬০ টাকা দরে ২ কোটি শেয়ার ইস্যু করে। মূলধন সংগ্রহেহর অনুমোদন পাওয়া ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের পরিচালকরা সম্মিলিতভাবে ৫.০২ শতাংশ ও একটিভ ফাইন কেমিক্যালের পরিচালকরা ১২.০২ শতাংশ শেয়ার ধারণ করছেন।

বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান এবিএম মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ না করা সত্ত্বেও প্রাইভেট প্লেসমেন্টে মূলধন বাড়ানোর সুযোগ দেওয়া হলে বিএসইসির নির্দেশনারই ব্যত্যয় ঘটবে। এতে ওই নির্দেশনারই লঙ্ঘন ঘটবে। এছাড়া তালিকাভুক্তির পর প্লেসমেন্টে মূলধন বাড়ানোর অনুমোদন একটি আনফেয়ার প্রাকটিস, এটা ঠিক না।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) মিউচুয়াল ফান্ড ও ট্রেজারি বন্ড বাদে তালিকাভুক্ত কোম্পানির সংখ্যা বর্তমানে ৩০৩টি। এর মধ্যে এখনো ২১ কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকের শেয়ার ৩০ শতাংশের নিচে রয়েছে। অথচ ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারনের বিষয়টি আদালত থেকেও কোম্পানির প্রতি নির্দেশিত হয়েছিল।  বিষয়টি বিএসইসিকে অবহিত করলে তারা বলেছে, এটি সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। তারপরও আমাদের এনফোর্সমেন্ট বিভাগের মাধ্যমে ধাপে ধাপে আইন লঙ্ঘনকারী কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

আর বিশ্লেষকরা বলেছে, দেশে আইন থাকলেও আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন না থাকার জন্যই আজ শেয়ার বাজারের এই অবস্থা। এ সমস্ত কারনেই বিনিয়োগকারীরা বাজারটির ওপর থেকে আস্তে আস্তে আস্থা হারিয়ে ফেলছে। আর বিনিয়োগকারীরা খুব দ্রুতই এসব অভিযুক্ত কোম্পানিকে আইনের আওতায় এনে যথাযথ শাস্তি প্রদানের জন্য বিএসইসির প্রতি দাবী জানিয়েছেন।

তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের অধিকাংশই ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের হাতে থাকায় বাজারে শেয়ারের চাহিদা কমে যাচ্ছে। ফলে প্রকৃত শেয়ারমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা। এদিকে প্রত্যেক পরিচালকের হাতে ২ শতাংশ শেয়ার থাকার কথা থাকলেও তারা সে আইনটিও মানছেন না। কিন্তু মাস শেষে ঠিকই ভিন্ন খাতে খরচ দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে তারা।

তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, বিএসইসি’র শেয়ার ধারণ সংক্রান্ত নির্দেশনা অনুযায়ী উদ্যোক্তা পরিচালকদের একক শেয়ার ২ শতাংশ এবং কোম্পানির সম্মিলিত শেয়ার ৩০ শতাংশ সংগ্রহ করার সময়সীমা ২০১২ সালের ২২ মে শেষ হয়ে গেছে। এর আগে ২০১১ সালের ২২ নভেম্বর বিএসইসি তালিকাভুক্ত কোম্পানির সব পরিচালককে সবসময় সংশ্লিষ্ট কোম্পানির ২ শতাংশ শেয়ার এবং কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকদের সবসময় সম্মিলিতভাবে ওই কোম্পানির ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণের নির্দেশ দেয়।

এটি পরিপালনের জন্য ছয় মাস সময় বেঁধে দেয়। বিষয়টি উচ্চ আদালতে গড়ায় এবং সর্বশেষ ২০১৪ সালেরর ১৪ মে কোম্পানির উদ্যোক্তাদের ২ শতাংশ শেয়ার ধারণের বাধ্যবাধকতার প্রজ্ঞাপনটি অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেয় হাইকোর্ট। ঠিক এর পরের দিন এ রায় স্থগিত করেছে চেম্বার বিচারপতি। ফলে ২০১২ সালের ২২ মে পর্যন্ত তালিকাভুক্ত যেসব কোম্পানির পরিচালকরা ন্যুনতম ২ শতাংশ শেয়ার ধারণে ব্যর্থ হন, তাদের পদ শূন্য হয়ে যায় এবং সম্মিলিত শেয়ার ৩০ শতাংশ ধারণে ব্যর্থ হয়েছেন তারা আইন লঙ্ঘন করছেন বলে বিবেচিত হয়।

জানা যায়, যেসব উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে ৩০ শতাংশের নিচে শেয়ার রয়েছে এমন কোম্পানির তালিকায় রয়েছে -এবি ব্যাংক, উত্তরা ব্যাংক, ফুয়াং সিরামিক, আইসিবি, ফাইন ফুডস, ফুয়াং ফুড, ন্যাশনাল টি, বিডি ওয়েল্ডডিং, বিজিআইসি, কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্স, মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, অগ্নি সিস্টেমস, ইনটেক অনলাইন, বেক্সিমকো,  অ্যাকটিভ ফাইন, মেট্রো স্পিনিং, ম্যাকসন্স স্পিনিং, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ। এছাড়া অনুসন্ধানে আরও দেখা যায়, তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে সরকারি প্রতিষ্ঠান আইসিবি ও ন্যাশনাল টি এর সরকারি শেয়ারের পরিমাণ রয়েছে একেবারেই সামান্য।

ডিএসই ওয়েবসাইটের সর্বশেষ তথ্যে দেখা গেছে, ফু-ওয়াং সিরামিকের পরিচালনা পর্ষদের কাছে রয়েছে ২৪ দশমিক ২২ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ২৬ দশমিক ১৪, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে শূন্য দশমিক শূন্য ২ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৪৯ দশমিক ৬২ শতাংশ শেয়ার।

ফু-ওয়াং ফুডসের পরিচালনা পর্ষদের কাছে রয়েছে ৫ দশমিক শূন্য ৩, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ১৭ দশমিক ৪২ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৭৭ দশমিক ৫৪ শতাংশ শেয়ার।

এবি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের কাছে রয়েছে ১৩ দশমিক ৯০, সরকারের কাছে রয়েছে শূন্য দশমিক ৫৭, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৫৭ দশমিক ২৭, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ১ দশমিক ৪৯  এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ২৬ দশমিক ৭৭ শতাংশ শেয়ার।

একইভাবে অ্যাকটিভ ফাইনের পরিচালনা পর্ষদের কাছে রয়েছে ১২ দশমিক শূন্য ২, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ২৩ দশমিক ১৪ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৬১ দশমিক ৮৪ শতাংশ শেয়ার।

এছাড়া অগ্নি সিস্টেমসের পরিচালনা পর্ষদের কাছে রয়েছে ১১ দশমিক ৪০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ২২ দশমিক ৭৪ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৬৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ শেয়ার।

এ্যাপেক্স ফুটওয়্যারের পরিচালনা পর্ষদের কাছে রয়েছে ২১ দশমিক ৮৩, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৩৮ দশমিক ৯৩, সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৩৯ দশমিক ২৪ শতাংশ শেয়ার।

বিডিকম অনলাইনের পরিচালনা পর্ষদের কাছে রয়েছে ২৩ দশমিক ১০, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৩২ দশমিক ৯৯ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৪৩ দশমিক ৯১ শতাংশ শেয়ার।

আইনানুযায়ী বেক্সিমকো লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের সম্মিলিতভাবে শেয়ার থাকার কথা ৩০ শতাংশ; কিন্তু বাস্তবে আছে ২০ দশমিক ১৫, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ১৫ দশমিক ১০, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে  ৯ দশমিক ৮৬ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৫৪ দশমিক ৮৯ শতাংশ শেয়ার।

বিজিআইসির পরিচালনা পর্ষদের কাছে রয়েছে ২৩ দশমিক ৭৪, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৩৪ দশমিক ৩০ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৪১ দশমিক ৯৬ শতাংশ শেয়ার। এছাড়া কোম্পানিগুলোর পরিচালকদের এককভাবে সর্বনিম্ন ২ শতাংশ শেয়ার ধারণ করার কথা থাকলেও, তা পরিপালন হচ্ছে না।

প্রসঙ্গত, যেসব উদ্যোক্তা বা পরিচালক ২ শতাংশ শেয়ার ধারণে ব্যর্থ হবেন, তারা কোম্পানিতে পরিচালক হিসেবে থাকতে পারবেন না। আর যেসব কোম্পানিতে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার থাকবে না, সেসব কোম্পানি পুনরায় বাজার থেকে মূলধন সংগ্রহ করতে পারবে না বলে নির্দেশনা জারি করে বিএসইসি।

এ প্রসঙ্গে বিনিয়োগকারী আজিজুর রহমান বলেন, তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের অধিকাংশই ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের হাতে থাকায় বাজারে শেয়ারের চাহিদা কমে যাচ্ছে। ফলে প্রকৃত শেয়ারমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা। এদিকে প্রত্যেক পরিচালকের হাতে ২ শতাংশ শেয়ার থাকার কথা থাকলেও তারা সে আইনটিও মানছেন না। কিন্তু মাস শেষে ঠিকই ভিন্ন খাতে খরচ দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে তারা।

তিনি আরও বলেন, বিনিয়োগকারীদের টাকা ব্যবহার করে কোম্পানিগুলো হাজার কোটি টাকা আয় করলেও বছর শেষে ক্যাটাগরিতে স্থান পাওয়ার জন্য মাত্র ১০ থেকে ৫ শতাংশ ডিভিডেন্ড দিচ্ছে।এসব কোম্পানির বিরুদ্ধে খুব দ্রুতই বিএসইসির ব্যবস্থা নেয়া উচিত।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএসইসির এক কর্মকর্তা বলেন, যেসব কোম্পানি বিএসইসি’র নির্দেশনাকে উপেক্ষা করছে ক্রমান্বয়ে এনফোর্সমেন্ট বিভাগের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কোনো নির্দেশনা বা আইন পরিপালন বাস্তবায়ন হওয়া সময় সাপেক্ষ ব্যাপার বলেও অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।

পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ড. আবু আহমেদ বলছেন ভিন্ন কথা। তার মতে, আমাদের দেশে আইন থাকলেও এর শতভাগ বাস্তবায়ন হয় না। বিশেষ করে পুঁজিবাজারেই এটা বেশি দেখা যায়। বিএসইসির করা আইন পরিপালনে বাধ্যবাধকতা থাকার পরও কোম্পানিগুলো তা পালন করছে না। আর এক্ষেত্রে বিএসইসি যেন নীরব দর্শক। ফলশ্রুতিতে বাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থার সঙ্কট দেখা দেবে- এটাই তো স্বাভাবিক। কাজেই সবকিছুর আগে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যাসহ আইনের সঠিক প্রয়োগ জরুরী বলে তিনি মনে করছেন।

বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী জাতীয় ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক আ ন ম আতাউল্লাহ নাঈম জানান, আইন বাস্তবায়নে ব্যর্থ কোম্পানিগুলোকে রাইট শেয়ারের মাধ্যমে অর্থ উত্তোলনের সুযোগ দেয়া হচ্ছে না। এটি তাদের জন্য শাস্তি হলেও লাভবান হচ্ছে কোম্পানিগুলো। আর ক্ষতির শিকার হচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা।

কারণ এমন অনেক কোম্পানি আছে, যারা বাজার থেকে মূলধন উত্তোলন করে ব্যবসা সম্প্রসারণ করতে পারে। কিন্তু সেই সুযোগ না থাকায় তারা কোম্পানি সম্প্রসারণ করছে না। ফলে উৎপাদন বাড়ছে। বিপরীতে বিনিয়োগকারীরা বছর শেষে তাদের কাক্ষিত লভ্যাংশ পাচ্ছেন না। বিএসইসির উচিত হবে এর জন্য সময় বেঁধে দেয়া এবং ওই সময়ের বাস্তবায়নে বাধ্য করা।