dse-cse lagoশেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে সপ্তাহজুড়ে বাজার পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতে চলছে। বাজেট প্রস্তাবনার আগের সপ্তাহে ঊর্ধ্বমুখী ছিল দেশের উভয় স্টক এক্সচেঞ্জের সব সূচক। তবে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লু-চিপ সূচক ডিএসই-৩০।

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে জাতীয় সংসদে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উত্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী। বাজার-সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পুরো সপ্তাহেই বিনিয়োগকারীরা বাজেট ও শেয়ারবাজারের ওপর এর প্রভাব নিয়ে সতর্ক ছিলেন। হ্রাস-বৃদ্ধির মধ্যে লেনদেন চললেও সপ্তাহ শেষে অধিকাংশ শেয়ারের দর বেড়েছে। তবে স্টক এক্সচেঞ্জের নির্বাচিত কোম্পানিগুলোর শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেশি ছিল।

index upসপ্তাহ শেষে ঢাকার বাজারের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১ দশমিক ৩২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ৪ হাজার ৪৪৬ দশমিক শূন্য ৯ পয়েন্টে। অন্যদিকে ডিএসই-৩০ সূচকটি ৩ দশমিক ১২ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৭৬১ পয়েন্ট ছাড়ায়। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ব্রড ইনডেক্স সিএসসিএক্স ১ দশমিক ২৭ শতাংশ বাড়লেও মাত্র দশমিক ৮৭ শতাংশ বেড়েছে সেখানকার নির্বাচিত কোম্পানিগুলোর সূচক সিএসই ৩০।

ডিএসইতে গেল সপ্তাহে ১৭০টির দরবৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ১৩১টি সিকিউরিটিজের বাজারদর। অন্যদিকে সিএসইতে ১৩৬টির দরবৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ১০৭টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৩২টির বাজারদর।

সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার পাশাপাশি লেনদেনও আগের সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে। ডিএসইতে কেনাবেচার দৈনিক গড় আগের সপ্তাহের তুলনায় ১৬ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়ে ৪৩৩ কোটি টাকা ছাড়ায়।

খাতভিত্তিক চিত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, বাজার মূলধন বৃদ্ধিতে এগিয়ে ছিল সিমেন্ট, খাদ্য-আনুষঙ্গিক, বিদ্যুত্-জ্বালানি, প্রকৌশল ও টেলিযোগাযোগ। বিপরীতে দর হারিয়েছে আর্থিক খাতের বেশির ভাগ শেয়ার।

প্রস্তাবিত বাজেটে শেয়ারবাজারের জন্য উল্লেখ করার মতো কোনো সুখবর না থাকলেও তৈরি পোশাক খাতের করপোরেট কর হ্রাস ও বস্ত্র কোম্পানিগুলোর জন্য কিছু মূসক ছাড় সংশ্লিষ্ট খাতের প্রতি শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের কিছুটা আকৃষ্ট করেছে বলে মনে করছেন বাজার-সংশ্লিষ্টরা। ডিএসইতে গেল সপ্তাহে দরবৃদ্ধির শীর্ষ ১০ তালিকায় তিনটি ছিল বস্ত্র খাতের কোম্পানি।