sharebazar lagoশেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারের আজ ভাল তো কাল খারাপ। এ অবস্থার মধ্যে দীর্ঘ চয় বছর পুঁজিবাজার অতিক্রম করেছে। এ ছয় বছরে নিষ্ঠুর ভাটা শুধু নিঃস্ব করছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের পুঁজি। এ নিঃস্ব হওয়ার পথ রোধ হয়ে পুঁজিবাজারে দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতার অপেক্ষায় রয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।

বিনিয়োগকারীদের মতে, নানামুখী পদক্ষেপে লেনদেন ও সূচকের স্থিতিশীল ধারা ধরে রাখা যেন সম্ভব হচ্ছে না। বিভিন্ন কর্মসূচী বাস্তবায়নের পর বাজার ভালো হবে এমন প্রত্যাশায় ছিল বাজারমুখী পুঁজিহারা বিনিয়োগকারীরা। কিন্তু কিছুতেই স্থিতিশীলতার দেখা মিলছে না। তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থার নেয়া পদক্ষেপ এবার যেন বাজারকে স্থিতিশীল করে।

এ প্রসঙ্গে কয়েকজন অভিজ্ঞ বিনিয়োগকারী বলেন, লেনদেনের স্বাভাবিক গতি না দেখে প্রতিনিয়তই বাজারবিমুখ হচ্ছেন ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা। এদের ঘুরে ফিরে আসে অতীতের হারানোর হাহাকার। তারপরও বাজারের ইতিবাচক স্থিতিশীলতার প্রত্যাশায় রয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। লোকসানের ভয় ধীরে ধীরে বিনিয়োগকারীদের মনে দীর্ঘমেয়াদি আস্থা আসছে না।

আস্থা সংকট কাটিয়ে উঠতে প্রয়োজন বাজারের দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা। কিছুদিন আগেও নতুন বিও অ্যাকাউন্টের সংখ্যা স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত দিয়েছিল। কয়েক মাসের পতনে সিকিউরিটিজ হাউজগুলোতে বিও অ্যাকাউন্ট খোলার সে প্রবণতা অনেক কমেছে।

বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কয়েক মাস আগে মুনাফার আশায় নতুন করে বিনিয়োগ করছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। দীর্ঘদিনের ধারাবাহিক শেয়ার দর নিম্নমুখী ধারা অব্যাহত থাকায় তারা ভুগছেন হতাশায়।

বিনিয়োগকারী মুমেন বলেন, ২০০৬ সালে ছাত্র অবস্থায় শেয়ার ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে পড়ি। তখন ধারণা ছিল অনেক ব্যবসার মধ্যে শেয়ারবাজারে ব্যবসা করে বেশি মুনাফা করা যাবে। প্রাথমিক পর্যায়ে ব্যবসা ভালোই মুনাফা করেছি। কিন্তু ২০১০ সালের বড় ধরনের পতনে বিশাল লোকসানের মুখে পড়েন। এরপর থেকে বর্তমান পর্যন্ত পুঁজি হারানো তালিকা হচ্ছে বড়। তারপরও বাজারে দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতার অপেক্ষায় রয়েছেন তিনি।

পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞ হাসান মাহমুদ বিপ্লব বলেন, পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা রাখা নিয়ন্ত্রক সংস্থার এখন বড় চ্যালেঞ্জ। আর তাই অতিদ্রুত বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে বাজারের লেনদেনের গতি স্বাভাবিক রাখা উচিত বলে মনে করেন তিনি। এছাড়া বাজার নিয়মিত মনিটরিং করে চক্রান্তকারীদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি।

তবে বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, পুঁজিবাজার এখন তলানিতে এসে ঠেকেছে। এখান থেকে খুব বেশি পতনের সম্ভাবনা নেই। তবে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার আভাস দেখা গেলে বাজার অনেক দূর এগিয়ে যাবে। তখন শেয়ার সংগ্রহ করাই মুশকিল হবে। তাই বিনিয়োগকারীরা যাতে ক্ষতির শিকার হয়ে শেয়ার হাত ছাড়া না করেন সেই বিষয়ে তারা বিনিয়োগকারীদের পরামর্শ দেন।