সাবমেরিন ক্যাবল বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্টারনেট সংযোগ দিবে
![](http://www.sharebarta24.com/wp-content/uploads/2016/04/sub-marine-lago-72x60.png)
শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত টেলিযোগাযোগ খাতের কোম্পানি বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিসিএল) দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্টারনেট সংযোগ দিবে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) মাধ্যমে এ সংযোগ স্থাপন করবে কোম্পানিটি। সম্প্রতি এ বিষয়ে বিডিরেন ও বিএসসিসিএলের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নান, বিএসসিসিএলের পরিচালক মো. মনোয়ার হোসেন ও বিডিরেনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম হাবিবুর রহমানসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। চুক্তি অনুযায়ী, বিএসসিসিএল প্রাথমিকভাবে বিডিরেনকে ১০ জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ সরবরাহ করবে। সেখান থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় ইন্টারনেট সংযোগ প্রদান করবে বিডিরেন।
বিএসসিসিএলের এ সংযোগ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় বিটিসিএলের সরবরাহ করা বর্তমান ইন্টারনেটের চেয়ে শক্তিশালী ও নিরবচ্ছিন্ন হবে বলে জানিয়েছেন বিএসসিসিএলের কোম্পানি সচিব মো. আব্দুস সালাম। তবে কোম্পানির আর্থিক ফলাফলে এর প্রভাব সম্পর্কে এখনো কোনো তথ্য দিতে পারেননি তিনি।
জানা যায়, সাবরেরিন ক্যাবলের থেকে লিজ নিয়ে বাংলাদেশ রিসার্চ অ্যান্ড এডুকেশন নেটওয়ার্ক (বিডিরেন) এ সংযোগ স্থাপনের কাজ করবে। চুক্তি অনুযায়ী, বিএসসিসিএল প্রাথমিকভাবে বিডিরেনকে ১০ জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ সরবরাহ করবে। সেখান থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় ইন্টারনেট সংযোগ প্রদান করবে বিডিরেন। সাবমেরিন ক্যাবলের এ সংযোগ দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিটিসিএলের সরবরাহ করা বর্তমান ইন্টারনেটের চেয়ে শক্তিশালী ও নিরবচ্ছিন্ন হবে বলে কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে ভারতে ব্যান্ডউইডথ রফতানি করছে বাংলাদেশ সাবরেমিন ক্যাবল। ভারতীয়দের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি অনুসারে, আখাউড়া সীমান্ত হয়ে ত্রিপুরা অঞ্চলে বিএসসিসিএলের ১০ গিগাবাইট ব্যান্ডউইথ রফতানি হচ্ছে, যা কোম্পানির বার্ষিক আয় ১০ কোটি টাকা বাড়াবে বলে আশাবাদী সাবমেরিন ক্যাবলের কর্মকর্তারা।
সর্বশেষ প্রকাশিত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই১৫-মার্চ১৬) সময়ে এ কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.৪৮ টাকা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ০.৪৪ টাকা। আর তিন মাসে (জানুয়ারি-মার্চ ১৬) কোম্পানির ইপিএস হয়েছে ০.২১ টাকা। যা আগের বছরে একই সময়ে ছিল ০.০৯ টাকা।