dse ajkerশেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: বর্তমান পুঁজিব্জাারের দরপতনের শেষ কোথায় এই প্রশ্ন এখন লাখ লাখ বিনিয়োগকারীদের। তাদেরে একটাই বক্তব্যে আসলে কি পুঁজিবাজার আদৌ স্থিতিশীল হবে। না এ রকম পরিস্থিতি আরো বছরের পর বছর থাকবে। টানা ছয় বছরের দরপতনের পর কেন পুঁজিবাজার স্থিতিশীল হচ্ছে না। নিয়ন্ত্রক সংস্থাসহ সহ সরকার কি আসলে আইওয়াশ পদক্ষেপ নিচ্ছে।

সরকার কেন পুঁজিবাজার স্থিতিশীল করতে পারছে না। কেন নিয়ন্ত্রক সংস্থা কার্যক্রম বাস্তবায়ন হচ্ছে না। তাহলে নিয়ন্ত্রক সংস্থার এই পদে থাকার কি দরকার। এ প্রশ্নগুলো খোদ বিনিয়োগকারীদের মুখে মুখে।  শেয়ারবাজারে এখন বটম লাইন (তলানি) খুঁজছে সবাই। সরকার, নিয়ন্ত্রক সংস্থাসহ বাজার সংশিস্নষ্ট বিভিন্ন পক্ষের একের পর এক পদক্ষেপের পরও ইতিবাচক ফল না আসায় সবার মধ্যে এখন একই প্রশ্নথ কোথায় গিয়ে থামবে এই পতন?

সামগ্রিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, তালিকাভুক্ত কোম্পানির মৌলভিত্তি এবং শেয়ারের বর্তমান দর বিবেচনায় বাজারের এ মন্দা পরিস্থিতিকে সব বিশ্লেষকই সম্পূর্ণ অযৌক্তিক মনে করছেন। কিন্তু ধারাবাহিক এ পতনের শেষ কোথায় এ প্রশ্নের উত্তর দিতে পারছেন না কেউই।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বাজার আজ ভাল তো কাল খারাপ। সরকারসহ নিয়ন্ত্রক সংস্থা কোন পদক্ষেপ নিলে বাজার দুই চারদিন ভাল থাকে। ফের দরপতনের শুরু হয়ে যায়। এছাড়া আইসিবি রক্ষক হয়ে ভক্ষকের ভুমিকায় অবর্তীন। যার ফলে পুঁজিবাজার সোজা হয়ে দাঁড়াতো পারছে না।এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা নিরব ভুমিকায় রয়েছে। ফলে তালিকাভুক্ত সব কোম্পানির শেয়ারের দর কমতে কমতে নতুন করে নিঃস্ব হতে চলেছেন লাখ লাখ বিনিয়োগকারী।

বর্তমান বাজার পরিস্থিতি সম্পর্কে সাবেক অর্থ উপদেষ্টা এবং এসইসির সাবেক চেয়ারম্যান ড. এবি মির্জা আজিজুল ইসলাম  বলেন, পুঁজিবাজারে বর্তমানে যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে তাতে নতুন বিনিয়োগ না আসার কোন কারণ নেই। কারণ বাজারে অধিকাংশ শেয়ারের দর কোম্পানির মৌলভিত্তির চেয়ে নিচে নেমে গেছে। এখানে বিনিয়োগের ঝুঁকি অনেক কমে গেছে। বর্তমান অবস্থায় বিনিয়োগ করলে লাভবান হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। এরপরও বাজারে শেয়ারের দর কমছে। এর কোন যুক্তি নেই।

তিনি বলেন, বাজারে সাম্প্রতিক পতনের পেছনে কোনরকম কারসাজি থাকতে পারে। শেয়ারের দর অস্বাভাবিক নিচে নেমে যাওয়ার পরও কেন বিক্রির চাপ (সেল প্রেসার) আসছে এটা খতিয়ে দেখা দরকার। পাশাপাশি র্দুর্বল শেয়ারগুলোর দরবাড়ার কারন খতিয়ে দেখা উচিত।

এবিষয়ে মর্ডান সিকিউরিটিজ হাউজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খুজিস্তা নূর-ই নাহরীন মুন্নী বলেন, বাজারে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থাহীনতা বিরাজ করছে। গত দুই মাসে যে সব বিনিয়োগকারীরা বাজারে এসেছিল তারা ক্ষতি সম্মুখীন হয়েছেন। বর্তমানে দেশে কোন রাজনৈতিক অস্থিরতা নেই এখন বাজার ভাল হবার কথা কিন্তু উল্ট ভাবে দরপতন হচ্ছে। এটা বাজারের জন্য জন্য সুখবর নয় ।

এবিষয়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কাজী আব্দুল রাজ্জাক বলেন, টানা দরপতনের কারনে বিনিয়োগকারীরা নি:স্ব হচ্ছে। কিন্তু কোনো অদৃশ্য কারণে দীর্ঘদিন ধরে ব্যাংকের শেয়ারের দর ঝিমিয়ে আছে। তুলনামূলকভাবে ব্যাংকের শেয়ারের দর বাড়ছে না। দীর্ঘদিন ধরে ব্যাংকের শেয়ারের দর না বাড়ার কারণে ব্যাংকিং খাতের বিনিয়োগকারীদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করেছে। রাজ্জাক বলেন, বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে।

আস্থার অভাব দূর করতে হবে। রাজ্জাক আরও বলেন, সরকারকে পুঁজিবাজারের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে, যেন কারসাজি চক্র আর ফায়দা না নিতে পারে। রাজ্জাক বলেন, নতুন গর্ভনরের কাছে আমাদের জোরদাবি পুঁজিবাজারের দিকে সুনজর দেন।