জালিয়াত চক্র ফের সক্রিয়, গুজব ছড়িয়ে চলছে লুটপাট
শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে ফের জালিয়াত চক্র সক্রিয় হয়ে উঠছে। লাখ লাখ বিনিয়োগকারীকে পথে বসিয়েও একইভাবে শেয়ার কারসাজি করে চলছে তারা। প্রতিদিন কারসাজির তালিকায় যোগ হচ্ছে নতুন নতুন কোম্পানির নাম।
অভিযোগ রয়েছে, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ(ডিএসই) ও বিএসইসির কিছু কর্মকর্তা যোগসাজশ করে শেয়ার কারসাজি করছেন। এবার তারা বেছে নিয়েছেন স্বল্প মূলধনী প্রতিষ্ঠানগুলোকে। অর্থাৎ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের পথে বসানোর আরেক দফা আয়োজন চলছে পুঁজিবাজারে।
ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, গত তিন মাসে বেশ কিছু কোম্পানির শেয়ার নিয়ে ব্যাপক কারসাজির ঘটনা ঘটে। এ জন্য বিএসইসি-সংশ্লিষ্ট কোম্পানির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় বেপরোয়া হয়ে উঠছেন কারসাজিকারী চক্রের সদস্যরা। নতুন করে কারসাজির তালিকায় উঠে আসে কে অ্যান্ড কিউ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের নাম।
এছাড়া কারসাজির তালিকায় যোগ হয়েছে আরও ১০ কোম্পানির নাম। এগুলো হলো: ইর্স্টান লুবরিকেন্ট, আজিজ পাইপ, জিলবাংলা সুগার, জেমিনি ফুড, ইর্স্টান ক্যাবলেস, বিডি অটোকার, দেশ গামের্ন্টস, শ্যামপুর সুগার, আনোয়ার গ্যালভাইনিজিং, রহিমা ফুড, লিবরা ইনফিউশন।
এদিকে বেশ কিছু কোম্পানির নামে গুজব ছড়িয়ে গত কয়েক মাসের ব্যবধানে পুঁজিবাজার থেকে আবারো কয়েকশ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে কারসাজি চক্র। অনুসন্ধানে জানা গেছে, গত কয়েক মাসে বড় বড় কয়েকটি ব্রোকারেজ হাউজ এবং স্টক ব্রোকারেজের বেশকিছু অ্যাকাউন্টে সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে।
একাধিক বিনিয়োগকারীরা অভিযোগ করেছেন, বিএসইসি দায়ীদের শনাক্ত করে কোনো শাস্তি না দেওয়ায় বার বার একই ঘটনা ঘটছে। তারা বলছেন, বিএসইসির কিছু অসাধু কর্মকর্তা এর সঙ্গে জড়িত থাকায় দায়ীদের কোনো শাস্তি হয় না।
এ বিষয়ে বিএসইসির মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান বলেন, হঠাৎ করে গত কয়েকদিন ধরে বেশ কিছু কোম্পানির শেয়ারের দাম কেন বাড়ছে এবং কমেছে তার কারণ অনুসন্ধান করতে কমিটি গঠন করা হয়েছে।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষকরা বলেন, ডিএসইর কাছে তথ্য রয়েছে কারা সারসাজির সঙ্গে জড়িত। বিএসইসি চাইলে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। পুঁজিবাজারের কে অনিয়ম করল, কে কারসাজি করল তার বিচার করার দায়িত্ব আমাদের নয়, বিএসইসির। এর আগের ডিএসইর পক্ষ থেকে এ ধরনের অনিয়মের কথা একাধিকবার জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে ডিএসই এক পরিচালক বলেন, নিঃসন্দেহে গত মাসে বেশ কিছু কোম্পানির লেনদেনের ক্ষেত্রে অনিয়ম হয়েছে। এটা দেখার দায়িত্ব বিএসইসি। কিন্তু তারা কখনো এর বিচার না করায় এর সঙ্গে যারা জড়িত তারা নির্ভেজালভাবে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।