rokibur rahmanশেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালক রকিবুর রহমান বলেন, অর্থমন্ত্রী ঘোষণা দিয়ে ছিলেন ব্যাংকের বিনিয়োগ সমন্বয়ের সীমা বাড়িয়ে ২০১৮ সাল পর্যন্ত করা হবে। অর্থমন্ত্রী-বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন গভর্নরের নিকট পুঁজিবাজারের পক্ষ থেকে একটি আবেদন দিয়ে এসেছি।

তারা এ বিষয়ে হ্যাঁ অথবা না কিছুই বলছেন না। এখন আমরা কার কাছে যাবো। যেখানে একটি কোম্পানিকে ব্যাংক লোন দিয়ে ১৮ থেকে ২০ বছরের জন্য রিসিডিউল করে দেয়া হয়। অথচ লাখ লাখ বিনিয়োগকারীরা এ বাজারের জন্য সামান্য পলিসি সাপোর্ট চাচ্ছি। সামান্য এই পলিসি সাপোর্ট দিয়ে শেয়ারবাজারকে রক্ষা করার দাবি জানান তিনি।

সোমবার রাজধানীর পূবানী হোটেলে ‘অর্থনীতি ও পুঁজিবাজারের উন্নয়নে মার্চেন্ট ব্যাংকের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি একথা বলেন। সেমিনারে মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ছায়েদুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক খায়রুল হোসেন, সাবেক কমিশনার ও আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ খান।

রকিবুর রহমান বলেন, অর্থমন্ত্রী ঘোষণা দিয়ে ছিলেন ব্যাংকের বিনিয়োগ সমন্বয়ের সীমা বাড়িয়ে ২০১৮ সাল পর্যন্ত করা হবে। এরপর আমরা গেলাম বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে। বাংলাদেশ ব্যাংক বলে এটি আসতে হবে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে। গেলাম অর্থ মন্ত্রণালয়ে। অর্থ মন্ত্রণালয় বলে বাংলাদেশ ব্যাংক আমাদের কাছে চিঠি লিখলে আমরা ওকে করে দিবো। এই করতে করতে এ বিষয়ে জড়িত হলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। আমরা বাণিজ্যমন্ত্রীর কাছে গেলাম তিনি পুঁজিবাজারের স্বার্থে অর্থমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন।

এরপর অর্থমন্ত্রী বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন গভর্নরের সামনে কথা দিয়েছেন বিনিয়োগ সমন্বয় সীমা বাড়ানো হবে। সে সময় অর্থ সচিবও উপস্থিত ছিলেন। আমরা খতিয়ে দেখলাম যে আইনে বিনিয়োগ সমন্বয়ের সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে, সেই আইন পরিবর্তন না করেই সমন্বয়ের সীমা বাড়ানোর সুযোগ আছে।

এখন শুনছি কায়েক দিন আগে অর্থমন্ত্রীকে বোঝানো হচ্ছে এই সুযোগ দেওয়া হলে বাজার মেনুপুলেট (কারসাজি) ও বাবল হবে। আমরা কোন অর্থ খুজে পাচ্ছি না এটাতে কিভাবে বাজার বাবল হবে, বলেন রকিবুর রহমান।

এ সময় তিনি অর্থ উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, পুঁজিবাজার খারাপ কিছু তো না। প্রবৃদ্ধি বাড়াতে হলে পুঁজিবাজারকে আনতেই হবে। আর একটি কথা- আমরা যদি ব্যক্তি বিশেষকে শিল্পায়নের জন্য ৫০০ কোটি টাকার উপরে ১৫ বছর থেকে ১৮ বছর পর্যন্ত রিসিডিউল (ঋণ পুনঃতফসিল) করতে পারি,

তাহলে লাখ লাখ বিনিয়োগকারীর জন্য এ কাজটি (বিনিয়োগ সমন্বয় সীমা বাড়ানো) কারতে পারি না। আমরা টাকা চাচ্ছি না, সহায়তা চাচ্ছি না, কোন ফান্ড চাচ্ছি না। আমরা শুধু পলিসি সাপট (নীতি সহায়তা) চাচ্ছি। এখন যেভাবে আইন, নীতিমালা করা হয়েছে, সেখানে বাজার বাবল করার সুযোগ কোথায়?