jobi studentligসোহাগ রাসিফ, জবি: তিন বছর আগেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ছাত্রলীগের কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে। মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটিই চালাচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের যাবতীয় কার্যক্রম।  দলীয় সূত্রে জানা যায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সর্বশেষ কমিটি হয় ২০১২ সালে ৩ই অক্টোবর। এতে নেতৃত্বে আসেন সভাপতি এফ.এম শরিফুল ইসলাম।

এবং সাধারন সম্পাদক এস.এম সিরাজুল ইসলাম। নিয়ম অনুযায়ী ২০১৩ সালের ৩ই অক্টোবর নতুন কমিটি ঘোষনা হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। তবে শীঘ্রই নতুন এ কমিটি ঘোষনা করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন সংঘঠনটির একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা। তবে কেন্দ্রর এ ঘোষনাকে কথার কথা হিসেবে মনে করেছেন সংশ্লিষ্টদের অনেকেই।

জবি ছাত্রলীগের নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানাযায় ভাইটাল ( সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক) পদের জন্য বিভিন্ন ভাবে লভিং করেছেন অন্তত এক ডজন ছাত্রনেতা। ভাইটাল পদ পেতে আগ্রহী ছাত্রনেতারা নিজেদের উপস্থিতি দেখানোর জন্য রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে অবস্থিত ছাত্রলীগের পার্টি অফিসে লোকে লোকারন্য করে রাখেন তাদের নিজস্ব নেতা কর্মিদের দিয়ে। জানা যায় তারা ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান কেন্দ্রীয় নেতাদের মন যোগিয়ে রাখতে  বিভিন্ন ভাবে লভিং করে বেড়াচ্ছেন।

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ বলেন, অতি দ্রুত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটি নবায়ন করা হবে। নেতৃত্বে আসার জন্য লভিং করে লাভ হবে না। যারা নিয়মিত ছাত্র এবং যাদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই তারাই নেতৃত্বে আসবেন।

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক এস.এম. জাকির হোসেন বলেন, যাদের বয়স ২৯ বছরের কম এবং যারা নিয়মিত ছাত্র তাদেরকেই নতুন কমিটিতে রাখা হবে। নতুন কমিটি গঠনের ব্যাপারে জবি ছাত্রলীগের সভাপতি এফ.এম শরিফুল ইসলাম বলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের ইচ্ছা অনুযায়ী নতুন সম্মেলনের তারিখ ঘোষনা করা হবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জবির একাধিক ছাত্রনেতারা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতাদের কাছে দাবী জানিয়ে বলেন, আমরা জগ্নাথের কলেজ ব্যাচের কোন ছাত্রের নেতৃত্ব চাই না, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাচ থেকে নতুন নেতৃত্ব চাই। তারা বলেন নেতা হতে হলে অন্তত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ব্যাচের ছাত্র হতে হবে।

এদিকে জবির ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, আসন্ন জবির পরবর্তী কমিটিতে সভাপতি পদ পেতে মরিয়া হয়ে উঠছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগের অনুসারী শাখাওয়াত হোসেন প্রিন্স, সাইদুর রহমান জুয়েল, সুরঞ্জন ঘোষ, সাইফুল্লাহ ইবনে সুমন, মোঃ ইব্রাহীম।

এছাড়া সাধারন সম্পাদক পদের জন্য লভিং করেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক এস.এম. জাকির হোসেনের অনুসারী হারুন অর রশিদ হারুন, আনিসুর রহমান শিশির, জহির রায়হান আগুন, তানভীর রহমান খান। এছাড়া নেতা হওয়ার জন্য গোপনে লভিং করে যাচ্ছেন আরো কমপক্ষে পাচ নেতা। গ্রুপ না থাকায় তারা প্রকাশ্যে নাম বলছেন না।