dse lago newশেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও বিনিয়োগ সক্ষমতা বাড়াতে ব্যাংকের বিনিয়োগসীমার সংজ্ঞা  বাড়ানোর পাশাপশি চলতি বছরের বাজেটে  সরকারের কাছে তারল্য প্রবাহ বাড়াতে কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ চাইবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) নেতারা।  চলতি বছরের বাজেটে এ সরকারের কাছে এরকম একটি প্রস্তাব দেয়া হবে। আর বিনিয়োগের পর সরকারের অন্য কোনো সংস্থা কোনো প্রশ্ন করতে পারবে না, এমন প্রস্তাবও দেয়া হবে।

আগামী ৮ মে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে বাজেট আলোচনায় এ ধরনের একটি প্রস্তাব দেয়া হবে। তবে কালো ইস্যুতে সদস্যের মধ্যে কিছু ভিন্নমতও রয়েছে। অন্যদিকে আবাসন খাতের উদ্যোক্তাদের সংগঠন রিহ্যাবও এ বছর কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ চেয়েছে। ইতিমধ্যে তারা এনবিআরকে এ ধরনের প্রস্তাব দিয়েছে।

এ বিষয় জানতে চাইলে ডিএসইর পরিচালক রকিবুর রহমান বলেন, ‘আমরা কালো না বলে অপ্রদর্শিত আয় বলি। বাজেট আলোচনায় আমরা এ ধরনের একটি প্রস্তাব তুলে ধরার চেষ্টা করব। তবে এর আগে বিষয়টি বোর্ডে আলোচনা হবে। তিনি বলেন, এর আগেও অপ্রদর্শিত আয় বিনিয়োগের সুযোগ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তাতে খুব বেশি লাভ হয়নি। এর কারণ হল যারা বিনিয়োগ করেছে, এনবিআরের পক্ষ থেকে তাদের কোনো প্রশ্ন করা না হয়নি।

কিন্তু দুর্নীতি দমন কমিশনসহ (দুদক) সরকারের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের একটি আতঙ্ক ছিল। ফলে এবারে কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ দেয়া হলে নিশ্চয়তা দিতে হবে, সরকারের কোনো সংস্থা কোনো ধরনের প্রশ্ন উত্থাপন করতে পারবে না। তাহলেই কেবল এ উদ্যোগের সুফল পাওয়া যাবে।

সূত্র আরও জানায়, বর্তমান সরকারের আমলে ২০০৯-১০ থেকে ২০১২-১৩ থেকে ধারাবাহিকভাবে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেয়া হয়। ওই সময়ে বলা হয়েছিল নির্ধারিত করের পর ১০ শতাংশ জরিমানা দিয়ে কালো টাকা সাদা করা যাবে। কিন্তু তাতে খুব বেশি সাড়া পাওয়া যায়নি।

প্রথম বছর অর্থাৎ ২০০৯-১০ সালে এ খাতে ২৯৬ জন বিনিয়োগকারী ৪২৬ কোটি ৬৭ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছে। আর এ খাত থেকে রাজস্ব আয় হয়েছে ৪২ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে ৪ বছরে শেয়ারবাজারের এক হাজার ২১৪ জন কালোটাকা সাদা করেছেন। অর্থাৎ কালো পুঁজিবাজারে কালো টাকার উল্লেখযোগ্য কোনো প্রভাব পড়েনি। ওই সময়ে আরও বলা হয়েছিল, কালো টাকা বিনিয়োগের পর এনবিআর কোনো ধরনের প্রশ্ন করবে না।