doreen powerশেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে সদ্য তালিকাভুক্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানী খাতের কোম্পানি ডোরিন পাওয়ার জেনারেশ অ্যান্ড সিস্টেম লিমিটেডের লেনদেনের প্রথম কার্যদিবসের প্রায় ৫৪.২২ শতাংশ শেয়ার হাতবদল হয়েছে। আজ সকাল সাড়ে ১০ টায় দেশের উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে একযোগে লেনদেন শুরু করে কোম্পানিটি। উভয় স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, আজ লেনদেন শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে কোম্পানিটির ৮৫ লাখ ৩৭ হাজার ৩১৪টি শেয়ার হাতবদল হয়। অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ২৩ লাখ ৮ হাজার ৩৪৮টি শেয়ার হাতবদল হয়। অর্থাৎ উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে এ সময় প্রায় ১ কোটি ৮ লাখ শেয়ার হাতবদল হয়। যা আইপিও’র মাধ্যমে কোম্পানিটির ছাড়া ২ কোটি শেয়ারের ৫৪.২২ শতাংশ।

দিনশেষে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ১৯১.৩৮ শতাংশ বা ৫৫.৫ শতাংশ। কোম্পানিটির শেয়ার ডিএসইতে সর্বশেষ ৮৪.৫০ টাকায় হাতবদল হয়েছে।

অন্যদিকে,চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে কোম্পানিটির শেয়ার দিনশেষে ৮২.৯০ টাকায় হাতবদল হয়েছে। জানা যায়, দ্বিতীয় প্রান্তিকে ডোরিন পাওয়ারের কর পরিশোধের পর নীট মুনাফা হয়েছে এক কোটি ৭০ লাখ টাকা। আলোচিত সময়ে আইপিও পূর্ববর্তী কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.২৯ টাকা এবং আইপিও পরবর্তী ইপিএস হয়েছে ০.২১ টাকা।

অন্যদিকে, গত ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’১৫) কোম্পানিটির কর পরিশোধের পর নীট মুনাফা হয়েছে ৩ কোটি ৮৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা।আলোচিত সময়ে আইপিও পূর্ববর্তী কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ০.৬৬ টাকা এবং আইপিও পরবর্তী ইপিএস হয়েছে ০.৪৮ টাকা।

এছাড়া ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৫ পর্যন্ত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নীট সম্পদমূল্য হয়েছে ৩৬.৫১ টাকা। এর আগে গত (৩ এপ্রিল) রোববার লটারিতে বরাদ্দ পাওয়া শেয়ার সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের নিজ নিজ বিও হিসাবে জমা করেছে ডোরিন পাওয়ার।

উল্লেখ্য, গত ১০ মার্চ ডোরিন পাওয়ারের আইপিও লটারির ড্র অনুষ্ঠিত হয়। আর সোমবার ২৮ মার্চ অনুষ্ঠিত ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ কোম্পানিকে তালিকাভুক্তির অনুমোদন দেয়া হয়।

এর আগে বিএসইসির ৫৬০তম সভায় ডোরিন পাওয়ারের আইপিও অনুমোদন দেওয়া হয়। কোম্পানিটি পুঁজিবাজারে ২ কোটি শেয়ার ছেড়ে ৫৮ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের সঙ্গে ১৯ টাকা প্রিমিয়ামসহ ২৯ টাকা মূল্যে শেয়ার ইস্যু করে কোম্পানিটি।

কোম্পানিটি পুঁজিবাজার থেকে টাকা সংগ্রহ করে ২টি সহযোগী কোম্পানির পাওয়ার প্লান্ট স্থাপন, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ এবং আইপিওর কাজে ব্যয় করবে। কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে অ্যালায়েন্স ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস লিমিটেড এবং আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড।