পুঁজিবাজারের উন্নয়নও তারল্য বাড়াতে নেওয়া হচ্ছে ১১ পদক্ষেপ

আমিনুল ইসলাম, ঢাকা, শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম: বর্তমান পুঁজিবাজারের নাজুক পরিস্থিতি থেকে উত্তরন ও লেনদেনের পরিমাণ বাড়ানোসহ সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন বিকল্প প্রস্তাবনা নিয়ে আলোচনা করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)-এর পরিচালনা পর্ষদ, সাবেক সভাপতিগণ ও শীর্ষ ব্রোকারেজ হাউজের প্রতিনিধিবৃন্দ।
এমন পরিস্থিতিতে পুঁজিবাজারের গতি পরিবর্তনে অর্থ যোগান বাড়ানো জরুরি বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। এরই ধারাবাহিকতায় শীর্ষ ৩০ ট্রেকহোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই)। মঙ্গলবার এক জরুরি সভায় এই আলোচনা করা হয়।
বৈঠকে বাজারে অর্থের যোগান বৃদ্ধি করতে ট্রেকহোল্ডারদের পক্ষ থেকে ১১টি প্রস্তাব দেয়া হয়। ডিএসইর পরবর্তী বোর্ড সভায় প্রস্তাবগুলো বিবেচনা করে বাজারকে গতিশীল করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে ডিএসইর পক্ষ থেকে জানানো হয়।
এসময় ডে-নিটিং চালু ব্যাপারে মত দেন ট্রেক হোল্ডারা। তাদের মতে, ডে-নিটিং চালু হলে বাজারের লেনদেনের চাঞ্চল্য বাড়বে। এছাড়াও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এফডিআরের টাকা সংগ্রহ করা যায় কিনা তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এসেছে বলে দাবি করেন তারা।
দিন শেষে সেটেলমেন্ট সংক্রান্ত বাধা দূরীকরণ ছিল প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে অন্যতম। এ ছাড়া ব্যাংকের বিনিয়োগসীমা গণনা থেকে মার্কেটের সাথে সম্পৃক্ততাহীন বিষয় বাদ দেওয়া ও বিনিয়োগসীমা সমন্বয়ের জন্য আরও দুই বছর বৃদ্ধি করা আলোচনায় উঠে আসে।
জানা যায়, অনুষ্ঠিত বৈঠকে বাজারকে গতিশীল করতে ডে-সেটেলমেন্ট চালু করা, ব্যাংকের এক্সপোজার গণনা থেকে মার্কেটের সঙ্গে সম্পৃক্তাহীন বিষয় বাদ দেয়া, এক্সপোজার গণণার পরিবর্তীত সীমা ২১ জুলাই ২০১৬ এর পরে কমপক্ষে আরো দুবছর বৃদ্ধির সরকারি ঘোষণার দ্রুত বাস্তবায়ন, বেল আউট ফান্ড গঠন, নন-পারফর্মিং আইপিওর ক্ষেত্রে বাইব্যাক পলিসি প্রণয়ন, নিয়মিত বৈঠক আয়োজন, বহুজাতিক কোম্পানি এবং ভালো মৌলভিত্তির কোম্পানিকে বাজারে নিয়ে আসা, লভ্যাংশের ওপর দ্বৈতকর প্রত্যাহার এবং কর কর্তনের প্রমানপত্র প্রদান, আইপিওর ক্ষেত্রে ইস্যু ম্যানেজারকে দায়বদ্ধ করা, নতুন শাখা অফিস চালু এবং মোবাইল অ্যাপসের জন্য বুথ চালু করা ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হয়।