শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম: চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) তালিকাভুক্ত রয়েছে বিমা খাতের ৪৬টি কোম্পানি। যার মধ্যে ৪২টি কোম্পানির শেয়ারহোল্ডিং হালনাগাদ করা হয়েছে। হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, ৩০ জুন ৩০টি কোম্পানিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ কমেছে। যার মধ্যে জেনারেল ইন্সরেন্স ২২টি এবং লাইফ ইন্স্যুরেন্স ৮টি। অপরিবর্তি রযেছে ৪টি কোম্পানিতে।

তবে ৩০ জুন ৮টিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে। সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। উল্লেখ্য, ঢাকা স্টক্ এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) তালিকাভুক্ত বিমা কোম্পানির সংখ্যা ৫১টি। ডিএসইতে কোম্পানিগুলোর শেয়ারহোল্ডিং তথ্য এখনো হালনাগাদ করা হয়নি।

জানা যায়, ৩০ জুন সবচেয়ে বেশি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ কমেছে নর্দার্ন ইসলামী ইন্স্যুরেন্সে। ৩১ মে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ৩১.৭১ শতাংশ, ৩০ জুন এসে দাঁড়িয়েছে ১৪.৬৮ শতাংশে। এক মাসের ব্যবধানে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ কমেছে ১৭.০৩ শতাংশ।

এরপর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেশি কমেছে সন্ধানী লাইফ ইন্স্যুরেন্সে। ৩১ মে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ২৩.৪৮ শতাংশ, যা ৩০ জুন এসে দাঁড়িয়েছে ১১.১১ শতাংশে। এক মাসে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ কমেছে ১২.৩৭ শতাংশ।

একইভাবে ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্সে ৩১ মে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ২৪.৭৪ শতাংশে। ৩০ জুন এসে দাঁড়িয়েছে ১৭.৫৯ শতাংশ। এক মাসে কমেছে ৭.১৫ শতাংশ। রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৩১ মে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ ছিল ১৭.৯৪ শতাংশ, ৩০ জুন এসে দাঁড়িয়েছে ৯.৭৮ শতাংশে। এক মাসে কমেছে ৮.১৬ শতাংশ।

ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্সে ৩১ মে ছিল ৯.৪১ শতাংশ, ৩০ জুন এসে দাঁড়িয়েছে ২.৫৩ শতাংশে। এক মাসে কমেছে ৬.৮৮ শতাংশ। রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্সে ৩১ মে ছিল ১৮.৮৭ শতাংশ, ৩০ জুন এসে দাঁড়িয়েছে ১৪.৬৭ শতাংশে। এক মাসে কমেছে ৪.২ শতাংশ। মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্সে ৩১ মে ছিল ২৯.০৩ শতাংশ, ৩০ জুন এসে দাঁড়িয়েছে ২৫.২২ শতাংশে। এক মাসে কমেছে ৩.৮১ শতাংশ।

পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্সে ৩১ মে ছিল ১৩.৩৭ শতাংশ, ৩০ জুন এসে দাঁড়িয়েছে ৯.৫২ শতাংশে। এক মাসে কমেছে ৩.৮৫ শতাংশ। প্রগতী লাইফ ইন্স্যুরেন্সে ৩১ মে ছিল ২৯.৩৬ শতাংশ, ৩০ জুন এসে দাঁড়িয়েছে ২৫ শতাংশে। এক মাসে কমেছে ৪.৩৬ শতাংশ। প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সে ৩১ মে ছিল ৪৪.৭৭ শতাংশ, ৩০ জুন এসে দাঁড়িয়েছে ৩৮.৬২ শতাংশ। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে কমেছে ৬.১৫ শতাংশ।

বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির ৩১ মে ছিল ১৬.৬৪ শতাংশ, ৩০ জুন এসে দাঁড়িয়েছে ১৬.১২ শতাংশ। এক মাসে কমেছে ০.৫২ শতাংশ। সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির ৩১ মে ছিল ১৬.৫৭ শতাংশ, ৩০ জুন এসি দাঁড়িয়েছে ১২.৯৪ শতাংশ। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে কমেছে ৩.৬৩ শতাংশ। কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্সে ৩১ মে ছিল ১০.০১ শতাংশ, ৩০ জুন এসি দাঁড়িয়েছে ৬.৪১ শতাংশ। এক মাসে কমেছে ৩.৬০ শতাংশ।

ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্সে ৩১ মে ছিল ৮.৩১ শতাংশ, ৩০ জুন এসি দাঁড়িয়েছে ৫.১০ শতাংশ। এক মাসে কমেছে ৩.২১ শতাংশ। দেশ জেনারেলই ইন্স্যুরেন্সে ৩১ মে ছিল ৭.৬ শতাংশ, ৩০ জুন এসি দাঁড়িয়েছে ৩.৮৯ শতাংশ। এক মাসে কমেছে ৩.৭১ শতাংশ।

ঢাকা ইন্স্যুরেন্সে ৩১ মে ছিল ৮.০৮ শতাংশ, ৩০ জুন এসি দাঁড়িয়েছে ৪.২৯ শতাংশ। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে কমেছে ৩.৭৯ শতাংশ। ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্সে ৩১ মে ছিল ২০.০৫ শতাংশ, ৩০ জুন এসি দাঁড়িয়েছে ১৮.৬৫ শতাংশ। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে কমেছে ১.০৪ শতাংশ।

এক্সপ্রেসে ইন্স্যুরেন্সে ৩১ মে ছিল ৮.৫৯ শতাংশ, ৩০ জুন এসে দাঁড়িয়েছে ৪.৪ শতাংশ। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে কমেছে ৪.১৯ শতাংশ। গ্রিনডেল্টা ইন্স্যুরেন্সে ৩১ মে ছিল ১৯.৯৪ শতাংশ, ৩০ জুন এসে দাঁড়িয়েছে ১৩.৪৬ শতাংশ। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে কমেছে ৬.৪৮ শতাংশ। ফেডারেল ইন্স্যুরেন্সে ৩১ মে ছিল ৬.৪ শতাংশ, ৩০ জুন এসে দাঁড়িয়েছে ৪.২৭ শতাংশ। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে কমেছে ২.১৩ শতাংশ।

ইসলামী ইন্স্যুরেন্সে ৩১ মে ছিল ১৪.৬৯ শতাংশ, ৩০ জুন এসে দাঁড়িয়েছে ১২.২৬ শতাংশ। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে কমেছে ২.৪৩ শতাংশ। জনতা ইন্স্যুরেন্সে ৩১ মে ছিল ৬.৯ শতাংশ, ৩০ জুন এসে দাঁড়িয়েছে ৫.০৪ শতাংশ। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে কমেছে ১.৮৬ শতাংশ।

মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্সে ৩১ মে ছিল ১৩.২ শতাংশ, ৩০ জুন এসে দাঁড়িয়েছে ১১.৬২ শতাংশ। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে কমেছে ১.৫৮ শতাংশ। পিপলস ইন্স্যুরেন্সে ৩১ মে ছিল ৮.৭৫ শতাংশ, ৩০ জুন এসে দাঁড়িয়েছে ৮.০৩ শতাংশ। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে কমেছে ০.৭২ শতাংশ।

প্রাইম ইন্স্যুরেন্সে ৩১ মে ছিল ১৩.৪২ শতাংশ, ৩০ জুন এসে দাঁড়িয়েছে ১১.১৩ শতাংশ। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে কমেছে ২.২৯ শতাংশ। রূপালী ইন্স্যুরেন্সে ৩১ মে ছিল ১২.৮ শতাংশ, ৩০ জুন এসে দাঁড়িয়েছে ১১.৭৩ শতাংশ। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে কমেছে ১.০৭ শতাংশ।

সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্সে ৩১ মে ছিল ১২.৮ শতাংশ, ৩০ জুন এসে দাঁড়িয়েছে ৮.৮৭ শতাংশ। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে কমেছে ৩.৯৩ শতাংশ। তাকাফুল ইন্স্যুরেন্সে ৩১ মে ছিল ২১.৯৩ শতাংশ, ৩০ জুন এসে দাঁড়িয়েছে ১৮ শতাংশ। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে কমেছে ৩.৯৩ শতাংশ।ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সে ৩১ মে ছিল ২৩.১৯ শতাংশ, ৩০ জুন এসে দাঁড়িয়েছে ১৭.৮৪ শতাংশে। এক মাসে কমেছে ৫.৩৫ শতাংশ।

ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সে ৩১ মে ছিল ৪৩.০৮ শতাংশ, ৩০ জুন এসে দাঁড়িয়েছে ৪১.১৯ শতাংশে। এক মাসে কমেছে ১.৮৯ শতাংশ।যেসব কোম্পানিতে প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে রয়েছে সেগুলো হলো: পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সে ৩১ মে ছিল ২৩ শতাংশ, ৩০ জুন এসি দাঁড়িয়েছে ২৪.৯৭ শতাংশে। এক মাসে বেড়েছে ১.৯৭ শতাংশ।

প্রগতী ইন্স্যুরেন্সে ৩১ মে ছিল ১৮.৪ শতাংশ, ৩০ জুন এসি দাঁড়িয়েছে ১৯.৪৫ শতাংশে। এক মাসে বেড়েছে ১.০৫ শতাংশ। স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সে ৩১ মে ছিল ৬.৯ শতাংশ, ৩০ জুন এসি দাঁড়িয়েছে ৭.৮৫ শতাংশে। এক মাসে বেড়েছে ০.৯৫ শতাংশ। এশিয়া ইন্স্যুরেন্স ৩১ মে ছিল ২১.২৩ শতাংশ, ৩০ জুন এসি দাঁড়িয়েছে ২৩.২৪ শতাংশে। এক মাসে বেড়েছে ২.০১ শতাংশ।

প্রভাতী ইন্স্যুরেন্সে ৩১ মে ছিল ১০.৬৯ শতাংশ, ৩০ জুন এসি দাঁড়িয়েছে ১৪.৫৮ শতাংশে। এক মাসে বেড়েছে ৩.৮৯ শতাংশ। প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্সে ৩১ মে ছিল ৭.২৪ শতাংশ, ৩০ জুন এসি দাঁড়িয়েছে ৭.৮৪ শতাংশ। এক মাসে বেড়েছে ০.৬ শতাংশ। বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির ৩১ মে ছিল ৩৭.৩১ শতাংশ, ৩০ জুন এসি দাঁড়িয়েছে ৩৭.৫৮ শতাংশে।

অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে বেড়েছে ০.১৭ শতাংশ।নিটল ইন্স্যুরেন্সে ৩১ মে ছিল ৫.৮৭ শতাংশ, ৩০ জুন এসি দাঁড়িয়েছে ৮.০৬ শতাংশ। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে বেড়েছে ২.১৯ শতাংশ।

যেসব কোম্পানিতে প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ অপরিবর্তিত রয়েছে সেগুলো হলো-: ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্সে ৩১ মে ছিল ১৭.৭১ শতাংশ, ৩০ জুন এসে দাঁড়িয়েছে ১৭.৭১ শতাংশে। কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ অপরিবর্তিত রয়েছে। সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্সে ৩১ মে ছিল ১৭ শতাংশ, ৩০ জুন এসি দাঁড়িয়েছে ১৭ শতাংশে। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে অপরিবর্তিত।

রিলায়েন্স জেনারেল ইন্স্যুরেন্সে ৩১ মে ছিল ৪.৩২ শতাংশ, ৩০ জুন এসি দাঁড়িয়েছে ৪.৩২ শতাংশে। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে অপরিবর্তিত। এশিয়া প্যাসিফিক জেনারেল ইন্স্যুরেন্সে ৩১ মে ছিল ২৫.৩৮ শতাংশ, ৩০ জুন এসি দাঁড়িয়েছে ২৫.৩৮ শতাংশে। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে অপরিবর্তিত।