শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করে নেওয়া ৬৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়া-কমার সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। শনিবার (১০ এপ্রিল) বিএসইসি থেকে এই সংক্রাস্ত আদেশ জারি করা হয়েছে। নতুন আদেশ অনুযায়ী, ওই ৬৬টি কোম্পানির শেয়ার এক দিনে সর্বোচ্চ কমতে পারবে ২ শতাংশ।

আর দাম বাড়ার ক্ষেত্রে আগের মতোই ১০ শতাংশ সীমা বহাল রয়েছে। যেসব কোম্পানির শেয়ার পর ৫ টাকার নিচে, সেগুলোর দাম কমতে পারবে না, যেসব কোম্পানির শেয়ার দর ৫ থেকে ১০ টাকার কম সেগুলোর দাম কমতে পারবে সর্বোচ্চ ১০ পয়সা। যেসব কোম্পানির শেয়ার পর ১০ থেকে ১৫ টাকার কম সেগুলোর দাম কমতে পারবে সর্বোচ্চ ২০ পয়সা, যেগুলোর দাম ১৫ থেকে ২০ টাকার কম, সেগুলো সর্বোচ্চ ৩০ পয়সা,

যেগুলোর দাম ২০ টাকা থেকে ২৫ টাকার কম, সেগুলো সর্বোচ্চ ৪০ পয়সা, যেগুলোর দাম ২৫ টাকা থেকে ৩০ টাকার কম, সেগুলো সর্বোচ্চ ৫০ পয়সা, যেগুলোর দাম ৩০ টাকা থেকে ৩৫ টাকার কম, সেগুলো সর্বোচ্চ ৬০ পয়সা, যেগুলোর দাম ৩৫ টাকা থেকে ৪০ টাকার কম, সেগুলো সর্বোচ্চ ৭০ পয়সা, যেগুলোর দম ৪০ টাকা থেকে ৪৫ টাকার ভেতর, সেগুলোর দর সর্বোচ্চ ৯০ পয়সা, যেগুলোর দম ৫০ টাকা থেকে ৫৫ টাকার কম, সেগুলোর এক টাকা কমতে পারবে এক দিনে।

এর আগে গত বুধবার (৭ এপ্রিল) বিএসইসি ৬৬ কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করে নেয়। পরের দিন ৬৬ কোম্পানির শেয়ার দরে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এর ফলে বিনিয়োগকারীরা ফ্লোর প্রাইস পুনর্বহালের দাবি জানায়। ওই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ৬৬টি কোম্পানির শেয়ারের সর্বোচ্চ দাম বাড়া-কমার সীমা নির্ধারণ করে দিল নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।

এ বিষয়ে বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, নিশ্চিত করে বিএসইসি চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, ‘দীর্ঘ সময় ধরে ফ্লোর প্রাইস থাকায় আমাদের পুঁজিবাজার আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে পিছিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে আমরা বাংলাদেশে ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন অব সিকিউরিটিজ কমিশন (আইওএসসিও) সদস্য।

সেখানে আমাদের ক্যাটাগরি ‘এ’। দীর্ঘ সময় ধরে ফ্লোর প্রাইসের মাধ্যমে বাজার ম্যানিপুলেট করায় আমাদের ক্যাটাগরি পরিবর্তন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে কিছু কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস উঠিয়ে দেয়া হয়েছে। কিন্ত করোনা পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে আমরা দর পতন ঠেকাতে নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এগুলোর শেয়ার দর দিনে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারবে, তবে কমবে ২ শতাংশ করে।’

প্রসঙ্গত, গত ৭ এপ্রিল বিএসইসির ৭৬৯তম কমিশন সভায় পুঁজিবাজারে ফ্লোর প্রাইসে থাকা ১১০টি কোম্পানির মধ্যে ৬৬টির কোম্পানি ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয়। যা ৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর হয়। এখনো ৪৪টি কোম্পানির শেয়ারে ফ্লোর প্রাইস বহাল রয়েছে।