শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ৫ কোটি টাকারও কম পরিশোধিত মূলধনের বহূজাতিক রেকিট বেনকিজারের ২০১৯ সালে প্রায় ৬২ কোটি টাকা মুনাফা হয়েছে। যা বাংলাদেশী শত কোটি টাকার পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানির পক্ষেও সম্ভব হয় না।

রেকিটা বেনকিজারের বর্তমানে ৪ কোটি ৭২ লাখ ২৫ হাজার টাকার পরিশোধিত মূলধন রয়েছে। এ কোম্পানিটির ১০ টাকার প্রতিটি শেয়ারে ২০১৯ সালে ১৩১.০৬ টাকা মুনাফা হয়েছে। এ হিসাবে কোম্পানিটির ২০১৯ সালে নিট মুনাফা হয়েছে ৬১ কোটি ৯২ লাখ ৫৯ হাজার টাকা।

কোম্পানিটির মুনাফার সঙ্গে সঙ্গে শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ প্রাপ্তিও হবে আকাশচুম্বি। এরইমধ্যে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ ১২৫০ শতাংশ বা প্রতিটি শেয়ারে ১২৫ টাকার নগদ লভ্যাংশ সুপারিশ করেছে। অর্থাৎ মোট ৫৯ কোটি ৬ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকার নগদ লভ্যাংশ বিতরন করা হবে। এক্ষেত্রে মুনাফার ৯৫ শতাংশেরও বেশি শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে বিতরন করা হবে।

বিদেশী রেকিট বেনকিজার সামান্য পরিশোধিত মূলধন দিয়ে অনেক বড় মুনাফা করলেও দেশী কোম্পানিগুলোর পক্ষে তা সম্ভব হয় না। দেশী কোম্পানিগুলোর ক্ষেত্রে সম্ভব হয় অনেক বড় মূলধন দিয়ে স্বল্প মুনাফা করা। এর পেছনে অন্যতম কারন থাকে সুশাসনের অভাব ও দুর্ণীতির সয়লাব।

রেকিট বেনকিজারের বহূল প্রচলিত বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মধ্যে রয়েছে- ডেটল, হারপিক, লাইজল, ডিউরেক্স, মরটিন ইত্যাদি। এরমধ্যে বর্তমানে বাংলাদেশে ডেটল, হারপিক ও লাইজলের একচেটিয়া ব্যবসা রয়েছে।

রেকিটা বেনকিজারে উদ্যোক্তা/পরিচালকদের মালিকানা ৮২.৯৬ শতাংশ। এছাড়া বাংলাদেশ সরকারের ৩.৭৭ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ৩.৪৯ শতাংশ, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের ৩.০১ শতাংশ ও সাধারন বিনিয়োগকারীদের ৬.৭৭ শতাংশ মালিকানা রয়েছে। উল্লেখ্য, ১৯৮৭ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির ৩৪ কোটি ৪৯ লাখ টাকার রিজার্ভ রয়েছে। এ কোম্পানিটির বর্তমানে শেয়ার দর রয়েছে ৩১৩৯ টাকায়।