শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইস্টল্যান্ড ইন্সুরেন্সের শেয়ার নিয়ে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে লেনদেনে তুঘলকী কান্ড দেখা গেছে। এদিন লেনদেনর প্রথমভাগে কোম্পানিটির শেয়ার বিক্রেতা সংকটে পড়ে হল্টেড হয়ে যায়। হল্টেডের প্রথম পর্যায়ে কোম্পানিটির ১ কোটি ৮০ লাখের বেশি শেয়ারের ক্রেতা দেখা যায়। এক পর্যায়ে কিছু ক্রেতাো তাদের দরপ্রস্তাব উঠিয়ে নিলেও শেষ পর্যায় পর্যন্ত ১ কোটি ২৬ লাখের বেশি শেয়ারের ক্রেতার দরপ্রস্তাব বিদ্যমান ছিল। এদিন কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৫ লাখ ৯৮ হাজার। যার বাজার মূল্য ১ কোটি ৭২ লাখ ২৫ হাজার টাকা।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়. গত দুই বছরের মধ্যে ৯৬ শতাংশ কার্যদিবসই ইস্টল্যান্ড ইন্সুরেন্সের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১০ হাজার থেকে ৫০ হাজারের মধ্যে। মাঝে মাঝে লেনদেনে কিছু ঝলক দেখা গেলেও লেনদেন কখনো ১০ লাখের সীমারেখা অতিক্রম করতে পারেনি। বলা যায়, ইন্সুরেন্স খাতে এটি একটি স্বল্প লেনদেনের কোম্পানিই বটে।

তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত দুই বছরের মধ্যে কোম্পানিটির সর্বোচ্চ শেয়ারের লেনদেন হয়েছে ১০ লাখ। গত ১৬ জানুয়ারী হঠাৎ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেনে উল্লম্ফন দেখা যায়। এদিন কোম্পানিটির ১৯ লাখ ৯৭ হাজার শেয়ার লেনদেন হয়। তবে পরেরদিন থেকেই লেনদেনে আবারও ভাটা চলে আসে। গত ২৩ জানুয়ারী আবারও কোম্পানিটির শেয়ারের লেনদেন হঠাৎ বৃদ্ধি পায়। সেদিন লেনদেন হয় ৯ লাখের বেশি শেয়ার। পরদিন (২৪ জানুয়ারী) ৬ লাখের মতো শেয়ার লেনদেন হয়ে বিক্রেতা সংকেট পড়ে হল্টেড হয়ে যায় কোম্পানিটি।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত বৃহস্পতিবার সারাদিন যেখানে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৬ লাখেরও কম, সেখানে কোম্পানিটির ক্রেতার ঘরে ১ কোটি ৮০ লাখ ক্রেতার এক্সপোজার মোটেও স্বাভাবিক নয়। বিনিয়োগকারীদের বিশেষ মনোযোগ আকৃষ্ট করার অসৎ মনোভাব নিয়েই স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠি বিশাল শেয়ারের ওই বাই দেখিয়েছিল।

একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, সাম্প্রতিককালে প্রিমিয়ার ব্যাংক সিকিউরিটিজ থেকে ইস্টল্যান্ড ইন্সুরেন্সের লেনদেন বেশি হচ্ছে। বৃহস্পতিবার ওই হাউজ থেকেই কোম্পানিটির বিশাল বাই দেয়া হয়েছিল। কোম্পানিটির শেয়ার ‘প্লে’ করার অসৎ উদ্দেশ্যেই শেয়ারের ওই বিশাল বাই দেখানো হয় বলে বাজার সংশ্লিষ্টরা অভিযোগ করছেন।

২০১৮ সালে ইস্টল্যান্ড ইন্সুরেন্স শেয়ারহোল্ডারের সাড়ে ৭ শতাংশ ক্যাশ ও সাড়ে ৭ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল। ওই বছর কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় ছিল ২ টাকা ১৭ পয়সা। আগের বছর কোম্পানিটি ১০ শতাংশ ক্যাশ ও ৫০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল।
সদ্য সমাপ্ত হিসাব বছরের প্রথম ৯ মাসে (জানুয়ারী-সেপ্টেম্বর ২০১৮) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ১৫ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে শেয়াটরপ্রতি আয় ছিল ১ টাকা ১০ পয়সা।