nasrul-hamidশেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের শেয়ারহোল্ডারদের উদ্দেশ্যে বিদ্যুত, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ধৈর্য ধরুণ, ক্ষতি পুষিয়ে দিবো।

শোনা যায় আস্থার অভাবে শেয়ারের দাম কমে বিনিয়োগকারীরা লোকসানে পড়ছে। কিন্তু আমার মনে হয় বিনিয়োগকারীরা আস্থাকে ব্র্যান্ডিং করতে পারে নাই।  রোববার রাতে ডিএসই ব্রোকারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ডিবিএ’র সভাপতি আহসানুল ইসলাম টিটু। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএসইসির সাবেক কমিশনার ও আইডিএলসি ফাইন্যান্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আরিফ খান।

অনুষ্ঠানে বেশ কয়েকজন বক্তা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) সমালোচনা করে বলেন, তারা একতরফাভাবে তিতাসের গ্যাস বিতরণ চার্জ কমিয়ে দেওয়ায় বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। হাজার হাজার বিনিয়োগকারী এই সিদ্ধান্তে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তারা এ বিষয়ে মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এর জবাবে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, বিইআরসিসহ বিভিন্ন জায়গার দায়িত্বশীলরা পুঁজিবাজার বুঝে না। তাই এমন অনেক সিদ্ধান্ত চলে আসে।

উল্লেখ, ২০১৪ সালের আগস্ট মাসে বিইআরসি পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট কারো সঙ্গে আলোচনা না করে তালিকাভুক্ত কোম্পানি তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির গ্যাস বিতরণ মাশুল (প্রতি ঘন মিটার গ্যাসের) ৩২ পয়সা থেকে কমিয়ে ২২ পয়সা নির্ধারণ করে। অথচ কোম্পানিটির গ্যাস বিতরণে খরচ হয় তার চেয়ে বেশি। প্রতি ঘনমিটার গ্যাস বিতরণে তিতাসের গড় ব্যয় ২৯ পয়সা।

নতুন হার ওই বছরের ১ সেপ্টেম্বর কার্যকর হয়। এতে তিতাস গ্যাসের মুনাফায় ধস নামে। নতুন বিতরণ হার কার্যকর হওয়ার পরবর্তী প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর’১৫) তিতাস গ্যাসের শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয় ৩২ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ২ টাকা ১৬ পয়সা। এক বছরের ব্যবধানে আয় কমে প্রায় ৮৫ শতাংশ।